প্রায় পাঁচ একর জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠা এ সেন্টারে আছে মাছ চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রেণু উৎপাদনের হ্যাচারি, রেণু থেকে মাছের পোনা তৈরির ব্যবস্থা ও মাছ চাষের জন্য বিশাল বিশাল জলাশয়।
এ সেন্টারের দায়িত্বে রয়েছেন ফিসারি অফিসার কামাল হোসেন।
এছাড়াও সরপুঁটি, কাতলা, রুই, মৃগেল, কালিবাউস ইত্যাদি মাছের প্রথমে রেণু ও পোনা উৎপাদন করা হয়। এখানে উৎপাদিত পোনা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। একেকটি পোনা ছয় থেকে সাত সেন্টিমিটার আকারের হলে এগুলোকে অন্যত্র সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এছাড়া মাছ চাষিদের মধ্যেও সরাসরি পোনা বিক্রি করা হয়। মূলত বর্ষাকালে অধিক পরিমাণ পোনা উৎপাদন করা হয়। তবে বছরের অন্য সময় তারা বসে থাকেন না বলেও জানান কামাল হোসেন। শীতকালে মূলত কার্ফু মাছের রেণু ও পোনা উৎপাদন করা হয়ে থাকে।
এ পোনা উৎপাদন কেন্দ্র থেকে পোনা নেওয়ার জন্য চাষিদের আগ্রহ খুব বেশি কারণ এখানে বড় আকারের মাছ থেকে রেণু উৎপাদন করা হয়। তাই পোনা খুব দ্রুত বড় হয় বলে জানান তিনি।
রেণু ও পোনা উৎপাদনের পাশাপাশি এ কেন্দ্রটিতে মাছ চাষিদের বিভিন্ন প্রজাতির মাছকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়ে থাকে।
প্রজননকেন্দ্রটি ঘুরে দেখা যায়, বিশাল আকারের একাধিক পুকুর রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হেক্টর জায়গাজুড়ে পুকুরগুলো রয়েছে। এগুলোতে নেটের মাধ্যমে রেণু থেকে পোনা উৎপাদন করা হয়। আবার ঘরের ভেতরে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে তৈরি ট্যাংকির ভেতরে রেণু ও পোনা উৎপাদন করা হয়ে থাকে।
প্রজননকেন্দ্রটির পাশাপাশি ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট ও সিপাহীজলা জেলার মেলাঘর এলাকার মৎস্য দফতরের মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র পাবদা মাছের পোনা উৎপাদন করে থাকে। তবে এ কেন্দ্রটিতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ও সফলভাবে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা উৎপাদন করা হয়ে থাকে বলে জানান কামাল হোসেন। সবমিলিয়ে এ সেন্টারে বছরে কয়েক লাখ পোনা উৎপাদন করা হয়।
বলা যায়, ত্রিপুরা রাজ্যে মাছের উৎপাদনের ক্ষেত্রে এ কেন্দ্রটি অন্যতম বড় একটি ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/