রোববার (০৮ ডিসেম্বর) আগরতলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই জানান অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্সের (এটিটিএফ) সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ত্রিপুরা ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস পিপলস কাউন্সিলের (টিইউআইসিপি) উপদেষ্টা রঞ্জিৎ দেববর্মা।
তিনি জানান, প্রথম থেকেই তারা সিএবির বিরোধীতা করে আসছেন।
১৯৯৩ সালে এটিটিএফ জঙ্গি গোষ্ঠি, ভারত সরকার ও ত্রিপুরা সরকারের মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, এ চুক্তির শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম এক শর্ত ছিলো ত্রিপুরা রাজ্য থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করে দেওয়া হবে। যদি ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে সিএবি পাশ হয় তবে এই চুক্তির লঙ্ঘন করা হবে বলে জানান রঞ্জিত দেববর্মা।
তাছাড়া এ বিলটি বিশেষ এক ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সুবিধা দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি সংবিধান বিরোধী বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রঞ্জিৎ দেববর্মা বলেন, উত্তরপূর্ব ভারতে সিএবি আইন পাশ করা হলে এ অঞ্চলে রাজনৈতিক হিংসার আগুন জ্বলে উঠবে। কেননা এ বিল পাশ হলে জনজাতি অংশের মানুষ আরও সংখ্যালঘুতে পরিণত হবেন। ফলে জনজাতি যুব সমাজের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হবে এবং তারা আবার উগ্রবাদে ঝুঁকে পড়তে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক এ এটিটিএফ নেতা জানান, তারা কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর বিরোধী নন, নিজেদের অস্থিত্ব বজায় রাখার জন্যই তারা সিএবি বিরোধী এ আন্দোলন করছেন।
সিএবি বিলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন থেকে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে টানা ৯০ঘন্টার জন্য টানা হরতালের ডাক দেওয়া হয়। স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে এ হরতাল শুরু হবে।
হরতালে সড়ক, রেল যোগাযোগ, দোকানপাঠ, অফিস আদালতসহ কিছু বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা হরতালের বাইরে থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এসসিএন/এবি