সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রথমে আগরতলার পোস্ট অফিস চৌমুহনী এলাকায় অবস্থিত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের স্মৃতিতে নির্মিত শহীদ বেদিতে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজ্যপাল রমেশ বৈষ্য, ত্রিপুরা রাজ্যের সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস'র তরফে সশস্ত্র শ্রদ্ধা জানায়।
এ বছরই প্রথম ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো বিজয় দিবসে শহীদ ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের সঙ্গে মিল রেখে আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগেও উদযাপিত হচ্ছে বিজয় দিবস। ভারতীয় সেনা বাহিনীর শহীদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর কুঞ্জবনস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিস প্রাঙ্গণে উদযাপন করা হয় বিজয় দিবস। প্রথমে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দেওয়া বাণী পাঠ করেন সহকারী হাই কমিশনার কিরীটি চাকমা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দ্বিতীয় সচিব মো. এসএম আসাদ্দু জামান। এরপর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে মিশনের অন্যান্য কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় পর্বে এই দিন বিকেলে রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ত্রিপুরা বিধানসভার স্পিকার রেবতী মোহন দাসসহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর, ২০১৯
এসসিএন/এএটি