আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজ্যের মোট ৩শ' জন শিল্পীর মধ্যে এই সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, ভারত সরকারের খাদি ও গ্রামীণ শিল্প উদ্যোগ কমিশনের চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাক্সেনা, ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের সচিব কিরণ গিত্যে, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধীপতি অন্তরা সরকার, উত্তরপূর্ব ভারতের খাদি বোর্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সুকুমল দেব শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের অধিকর্তা পি কে গোয়েল প্রমুখ।
২০০ জন মৌমাছি পালক, ১০০ জন চর্মশিল্পী এবং ১৪০ জন মৃৎ শিল্পীকে প্রশিক্ষণ শেষে তাদের কাজের প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং সার্টিফিকেট তুলে দেন মঞ্চে উপস্থিত অতিথিরা।
ত্রিপুরার প্রতি খাদি কমিশনের আলাদা নজর থাকবে যাতে নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হয়। এ বছর ভারতে ১ লাখ মৌমাছির বাক্স বিতরণ করা হয়েছে। আগামী বছর এই মাত্রা দ্বিগুন করা হবে। মধু পালনের বহুমুখী উপকারিতা রয়েছে। মৌমাছির হুলে যে বিষ রয়েছে তা দিয়ে ক্যান্সারের মতো মারণ ব্যাধীর ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। এর মাধ্যমে রাজ্যের অর্থনীতি মজবুত হবে। এ বছর ৩০ হাজার কুমারকে চাকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে আয়োজকরা জানান।
অপরদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ভারতের আগের সরকার উত্তরপূর্বাঞ্চলের প্রতি অবহেলা করেছে। কিন্তু বর্তমান ভারত সরকার উত্তরপূর্বের জন্য কাজ করছে এবং বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। গ্রামীণ কুটির শিল্পের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে রোজগার করা সম্ভব। তাই এই বিষয়ে জোর দিচ্ছে ভারত সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এসসিএন/এমআরপি