রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে থানা লকআপের টয়লেটে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় পুলিশ। এরপর মৃতদেহ আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
এই ঘটনার খবর শুনে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, যদি এই ঘটনায় কাউকে দোষী পাওয়া যায়, তবে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীদলের সদস্যরা। এদিন সন্ধ্যায় কংগ্রেস সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই এবং যুব কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল পশ্চিম আগরতলা থানায় গিয়ে ডেপুটেশন প্রদান করেন ও এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে এনএসইউআই এর ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির সহ-সভাপতি সম্রাট রায় সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি জানান, পশ্চিম আগরতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ও সি) সুব্রত চক্রবর্তী কে যেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কারণ তার অধীনেই রয়েছে গোটা থানার দায়িত্ব। তার দায়িত্বের গাফিলতির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে।
তবে এই ঘটনাকে ঘিরে ওসি সুব্রত চক্রবর্তীর মধ্যে তেমন কোনো হেলদোল লক্ষ্য করা যায়নি।
অপরদিকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে সিপিআই (এম) দল'র তরফেও এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর সিটি সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। এই বিক্ষোভ থেকে তীব্র ভাষায় ত্রিপুরা সরকারের সমালোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩০ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
এসসিএন/এমএইচএম