আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের আওতাধীন উদ্যান বিভাগ স্থানীয় ফলের পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল চাষ করছে। আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার ফল চাষ গবেষণা কেন্দ্রটিতে পরীক্ষামূলকভাবে এ ধরনের ফলের চাষ করা হয়। এখানে গত ৫ বছর ধরে পরীক্ষামূলকভাবে স্ট্রবেরি চাষ করা হচ্ছে, এবং তা সফল হয়েছে। শুধু স্ট্রবেরি নয়, এরপর ড্রাগন ফলের পরীক্ষামূলক চাষও করা হয় এখানে। এবং তাতেও ব্যাপক সাড়া মেলে। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী পর্যায়ে এখানে আপেল চাষের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি নাগিছড়া ফল চাষ গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী অধিকর্তা সুবল দেবনাথ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়ছেন।
সুবল দেবনাথ জানান, কিছুদিন হলো নতুন প্রজাতির একটি আপেলের জাত উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা, এই আপেলের জাত তুলনামূলকভাবে নিচু জমিতে বাঁচতে পারে ও ফল ধরে।
ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের একটি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক হরিমোহন শর্মা নতুন এই প্রজাতির আপেলটি উদ্ভাবন করেছেন। এরই মাঝে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এর পরীক্ষামূলক চাষ করা হচ্ছে। নতুন প্রজাতির আপেলটির এখনও নামকরণ হয়নি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৮শ' ফুট উচ্চতাতেই এর ফলন হয়। ফলে ত্রিপুরা রাজ্যে এটির চাষ করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে রাজ্যের পাহাড়ি এলাকায়। ত্রিপুরা রাজ্যের সর্বোচ্চ পাহাড় জম্পুইয়ের উঁচু চূড়া ব্যাতলিংশিব'র উচ্চতা প্রায় ৩ হাজার ৮১ ফুট। এদিক থেকে বিচার করলে ব্যাতলিংশিব পুরোপুরিভাবে আপেল চাষের উপযুক্ত। আবহাওয়াগত দিক বিচার করলে জম্পুই পাহাড়ে আপেল চাষের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে জম্পুই পাহাড় ও নাগিছড়ায় এর চাষ করা হবে। এ জন্য গবেষককে ত্রিপুরায় নেওয়া হবে এবং তার পরামর্শ অনুসারে পরীক্ষামূলকভাবে আপেল চাষ শুরু করা হবে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে খুব দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান সুবল দেবনাথ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
এসসিএন/এইচজে
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।