একইসঙ্গে তিনি রাজ্য পুলিশের প্রশংসা করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে আজ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১কোটি ১৬লাখ ৯০হাজার ৩৪৩রুপি তুলে দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তিনি এও আহ্বান রাখেন, কেউ যদি, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করতে চায় তবে তা যেন চেকের মাধ্যমে করে। এক্ষেত্রে মানুষের কাছ থেকে নগদ অর্থ সংগ্রহ না করার জন্য বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন বর্তমান সরকার রাজ্যের সকল অংশের মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে চলেছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন পুর এলাকায় যারা ভ্যান রিক্সা ও রিক্সা শ্রমিক রয়েছেন এরকম ৮৬৬৬ জনকে, এককালীন ১হাজার রুপি করে সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে এই সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব সহকারে বলেন যে, মানুষের কাছ থেকে যেন নগদ অর্থ সাহায্য নেওয়া না হয়। পরিবর্তে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, রাজ্য ও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যেসব মানুষের কাছে সাহায্য দেয়া হচ্ছে তা ঠিকঠাক মতো যাচ্ছে কিনা সেই দিকে নজর রাখা যেতে পারে। যদি কোথাও অভিযোগ থাকে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে তা জানানোর জন্য আহ্বান রাখেন।
পাশাপাশি বলেন যে, রাজ্যের ভেতরে ও বাইরে যারা রয়েছেন, আগামী দিনেও তাদের সমস্যা হবে না। ইতিমধ্যেই বহিঃরাজ্যে আটকে যাওয়া রাজ্যবাসীর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রায় শতভাগ সফলতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন- বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যে একজন করোনা রোগী রয়েছে, তার শারীরিক অবস্থা উন্নয়নের দিকে। আশা প্রকাশ করেন যে শীঘ্রই তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। একই সঙ্গে বলেন যে, আক্রান্তের নিকটাত্মীয়ের মধ্যে এর সংক্রমণ না পাওয়া একটি সৌভাগ্যের বিষয়।
তিনি সমস্ত রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে আহ্বান রাখেন, তারা যেন লকডাউন, সামাজিক দুরত্ব ইত্যাদি মেনে চলে। পাশাপাশি বাড়িতে থেকে নানা সৃজনাত্মক কাজের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৯ ঘন্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
এসসিএন/এমএমএস