বুধবার (৬ মে) এ রাজ্যে নতুন করে আরও ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সব মিলিয়ে এখানে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৬২।
টুইটে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, নতুন শনাক্ত ২২ জনের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ১ জন মহিলা ও বাকি ৩ জন শিশু। পুরুষরা সবাই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১৩৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ান, এবং শনাক্ত মহিলা ও শিশুরা তাদেরই পরিবারের সদস্য। নতুন শনাক্ত জওয়ানরা সবাই রাজ্যের ধলাই জেলার অন্তর্গত বিএসএফ’র ১৩৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত।
এর আগে শনিবার (২ মে) প্রথম এই ব্যাটালিয়নের ২ জওয়ানের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরদিন রোববার করোনা শনাক্ত হয় আরও ১২ জওয়ানের শরীরে। সোমবার (৪ মে) ও মঙ্গলবার (৫ মে) ১৩ জন করে মোট ২৬ জনের শরীরে করোনা পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে এ রাজ্যে করোনা শনাক্ত ৬২ জনের মধ্যে ৫৫ জনই বিএসএফ জওয়ান।
এদিকে কী কারণে জওয়ানদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার এতো বেশি, তা জানতে চেয়ে বিএসএফ’র ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার্সের ইনিস্পেক্টর জেনারেলকে (আইজি) চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে এ বিষয়ে তদন্ত করে ত্রিপুরা সরকারের কাছে দ্রুত একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
করোনা নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে সরকারি নিয়মনীতি মেনে চলতে রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লব কুমার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরা রাজ্যের প্রথম ও দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তরা এরই মাঝে আগরতলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২০
এসসিএন/এইচজে