রোববার(১০ মে) সন্ধ্যায় রাজধানী আগরতলার ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সস্থিত মহাকরণের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা জানান রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব তথা স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব এস কে রাকেশ। তিনি আরো জানান, এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিটি জেলার জেলা শাসকদের নিয়ে আগরতলায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেই সঙ্গে তিনি আরো জানান ভারত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে করোনাভাইরাস নিয়ে নতুন একটি গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে। এই গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়েছে যে সকল করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে তুলনামূলকভাবে ভাইরাসের প্রকোপ কম থাকবে তেমন রোগীদেরকে সংশ্লিষ্ট জেলার করোনা কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসা করা হবে এবং সুস্থ হয়ে গেলে দশ দিন পর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হবে পর্যবেক্ষণের জন্য। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৪দিন পর্যবেক্ষণের পর তারা বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন।
জেলা হাসপাতলে করোনা কেয়ার ইউনিট চালু হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট জেলার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হবে জেলা করোনা কেয়ার ইউনিটে। যে সকল করোনা আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা জটিল হবে শুধুমাত্র তাদেরকেই আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে।
ভারত সরকারের গাইডলাইন অনুসারে আগরতলা ইতিমধ্যে দু’টি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল রয়েছে। এগুলো হচ্ছে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং আগরতলা শালবাগানস্থিত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী'র(বি এস এফ) ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার্স'র হাসপাতাল। এছাড়াও রাজধানীর আইজিএম হাসপাতালে ৩০শয্যা বিশিষ্ট একটি করোনা কেয়ার ইউনিট রয়েছে। এর পাশাপাশি আগরতলার খেজুর বাগান এলাকার শহীদ ভগৎ সিং যুব আবাসকে করোনা কেয়ার সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে।
তবে বর্তমানে আগরতলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শহীদ ভগৎ সিং যুব আবাসে করোনা কেয়ার সেন্টারে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩২জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
এসসিএন/এসআইএস