সোমবার (১ জুন) আগরতলার সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
রোববার (৩১ মে) ত্রিপুরা সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত রাজ্যের মোট ৩১৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার জানান, বিএসএফ জওয়ানদের মধ্যে এত বেশি হারে কেন করোনা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ত্রিপুরা সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে ত্রিপুরা রাজ্যে তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়। ওই টিম ধলাই জেলার আমবাসাস্থিত বিএসএফের আক্রান্ত দু’টি ব্যাটালিয়ন ঘুরে দেখেন এবং আধিকারিকসহ অন্য জওয়ান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পরবর্তী সময়ে ওই টিম আগরতলা এসে স্বাস্থ্য অধিকর্তাসহ দফতরের অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা ত্রিপুরা রাজ্য থেকে ফিরে গিয়ে সরকারকে তাদের পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করেন।
এ রিপোর্টে তারা বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে কর্মরত এবং আক্রান্ত বিএসএফের ব্যাটালিয়ন দু’টি করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ভারত সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছিল যেমন কোয়ারেন্টিন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, এ বিষয়গুলো তারা সঠিকভাবে পালন করেননি। ফলে একদিকে বিএসএফ জওয়ানরা যেমন ব্যাপকহারে আক্রান্ত হয়েছেন, তেমনি তাদের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ভারত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ রিপোর্ট তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। যেহেতু বিএসএফসহ অন্য আধা সেনা ও সেনাবাহিনীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, এখন তারাই যা পদক্ষেপ নেওয়ার, তা নেবে।
এসময় ত্রিপুরা রাজ্যে ব্যাপকহারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে। এতে করে সামাজিক স্তরে এ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কতটুকু, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার বলেন, ‘ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ সংক্রমণ রোধে যথেষ্ট সচেতন, তাই সামাজিক স্তরের তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা খুব কম। ’
তিনি জানান, সম্প্রতি তিনি ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন। শহরের লোক নয়, গ্রামীণ এলাকার মানুষও বলছেন, যারা অন্য রাজ্য থেকে লকডাউনের কারণে এ রাজ্যে ফিরেছেন তাদের যেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এমনকি এ দাবি পরিবারের সদস্যদের তরফেও করা হয়েছে। তা দেখে তিনি সত্যি অভিভূত। এসব কারণে তার ধারণা, রাজ্যে সামাজিক স্তরের করোনা সংক্রমণ হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
এসসিএন/এফএম