শুক্রবার (২৬ জুলাই) লাদাখে ভারতীয় সেনা হত্যা ও তার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন মোদী সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে কংগ্রেস।
এরই ধারাবাহিকতায় এদিন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
আগরতলার কুঞ্জবন এলাকার ভিআইপি রোডের মহাত্মা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি, মহিলা কংগ্রেস নেত্রী দেবযানী লস্করসহ অন্যান্য নেতারা।
সমাবেশে পীযূষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, লাদাখ সীমান্তে চীনের কঠোর মনোভাবের সামনে নীরব হয়ে বসে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতে করে ভারত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তার প্রধানমন্ত্রীত্বকালে চীনসহ অন্যান্য আগ্রাসী দেশগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব পোষণ করতেন। তাই তিনি চীনের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে, পাকিস্তানকে যুদ্ধে পরাস্ত করে বাংলাদেশের জন্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। অথচ এখন লাদাখ সীমান্তে চীনা সেনাদের হাতে ২০ জন ভারতীয় সেনা হত্যার শিকার হলেও নরেন্দ্র মোদী চুপচাপ বসে আছেন।
এদিকে এ দিন আগরতলার এয়ারপোর্ট রোডের অ্যালবার্ট এলাকার পার্কেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সাবেক দুই সভাপতি বিরাজিত সিনহা ও গোপাল রায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ত্রিপুরা প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের সহ-সভানেত্রী নিবেদিতা রায়, কংগ্রেস সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর সহ-সভাপতি সম্রাট রায়সহ প্রদেশ সেবাদলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।
এছাড়া একই দিন রাজধানীর গান্ধী ঘাট এলাকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিকসহ দলের অন্যান্য নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।
আগরতলার পাশাপাশি এদিন রাজ্যের প্রতিটি জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন কংগ্রেস নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
এসসিএন/এইচজে