আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তর রাজ্যে আরও বেশি পরিমাণে আখ চাষে গুরুত্ব দিয়েছে। কৃষকদের আখ চাষের প্রতি উৎসাহিত করতে দেওয়া হবে আর্থিক সহায়তাও।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে এসব কথা জানান কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজীৎ সিংহ রায়।
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের করা এক জরিপের বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যে দৈনিক গুড়ের চাহিদা প্রায় ৪ দশমিক ৮০ টন। সেই হিসাবে রাজ্যে বছরে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ টন গুড়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গুড়ের চাহিদার মাত্র ৩৫ শতাংশ উৎপাদিত হয় রাজ্যে অর্থাৎ প্রায় ৬০০ টন গুড় ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উৎপাদন করে থাকেন কৃষকরা। চাহিদার বাকি অংশ অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করতে হচ্ছে।
মন্ত্রী প্রণজীৎ সিংহ রায় জানান, জরিপে আরও জানা গেছে, প্রতি সপ্তাহে অন্য রাজ্য থেকে ২০-২২ টন গুড় আমদানি করতে হয়। আমদানি করার জন্য বছরে প্রায় ৪ কোটি ৮০ লাখ রুপি ত্রিপুরা রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে।
গুড় উৎপাদনের কাঁচামাল হচ্ছে আখের রস। ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আখ চাষ হয়ে থাকে। মূলত ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন নদীর চর এলাকায় চাষিরা চাষ করে থাকেন। রাজ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আখ চাষ হয় দক্ষিণ জেলার অন্তর্গত শান্তিরবাজার, বাইখোড়াসহ আশেপাশের এলাকায়।
এই এলাকাগুলো থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৭শ থেকে ৪শ কেজি গুড় উৎপাদন করেন স্থানীয় এলাকার চাষিরা। পরে বাজারে পাইকারি মূল্যে এগুলো বিক্রি করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর এবার রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে আখ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। যেন অন্য রাজ্য থেকে গুড়ের আমদানি কমানো যায়।
মন্ত্রী প্রণজীৎ সিংহ রায় বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজ্য সরকার আখ চাষিদের হেক্টরপ্রতি ২০ হাজার রুপি করে আর্থিক সহায়তা দেবে এই রবি মৌসুমে। প্রাথমিক পর্যায়ে দেড় হাজার হেক্টর জমিতে কৃষি দপ্তর আর্থিক সহায়তা দেবে। পাশাপাশি আখ থেকে গুড় উৎপাদন করার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে এই যন্ত্রপাতিগুলো দফতর থেকে সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
এসসিএন/এইচএডি