আগরতলা (ত্রিপুরা): চায়ের পাশাপাশি কফি ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় ও লাভজনক বাগিচা পণ্য হয়ে উঠছে, এমনটাই অভিমত কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার।
কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সটেনশন অফিসার অসীম কর বাংলানিউজকে জানান, ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমানে মোট ৪৯৮টি কফি বাগান রয়েছে।
কফি দুই ধরনের রয়েছে। এগুলো হলো- অ্যারাভিকা এবং রোভাস্টা। ত্রিপুরা রাজ্যে দুই ভ্যারাইটির কফিই চাষ হচ্ছে।
অ্যারাভিকা মূলত উঁচু ও অপেক্ষাকৃত শীতল জায়গায় চাষ হয়। ত্রিপুরা জম্পুই পাহাড় এই ধরনের কফি চাষের জন্য উপযুক্ত ও এখানে এই জাতের কফির ফলন হচ্ছে। আর রাজ্যের বাকি এলাকায় চাষ হচ্ছে রোভাস্টা প্রজাতির কফি, যোগ করেন তিনি।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, এবছর সব মিলিয়ে প্রায় ২০ মেট্রিক টন কফি উৎপাদিত হয়েছে রাজ্যের বাগানগুলো থেকে। এই রাজ্যে উৎপাদিত কফি অন্য রাজ্যে রপ্তানি করা হচ্ছে এবং দক্ষিণ জেলায় উৎপাদিত কফি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিচ্ছে। চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী বর্তমানে ইংল্যান্ডে রয়েছেন। তিনি প্রতি বছর ত্রিপুরার রূপাইছড়ি এলাকার কফি কিনে নিচ্ছেন।
ত্রিপুরা রাজ্যে দিন দিন কফির উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এখানে কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা আছে কি? এর উত্তরে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার যদি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু করে তবে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। তবে একটি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের জন্য ন্যূনতম ৫০ মেট্রিক টন কফির প্রয়োজন হয় বছরে। তবে খুব দ্রুত ত্রিপুরা রাজ্য এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ কফি উৎপাদিত হবে। ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর হচ্ছে কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার নোডাল এজেন্সি। তাই শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান সচিব হচ্ছেন, কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার সদস্য। ফলে কফি চাষিদের কথা চিন্তা করে আগামী দিনে রাজ্যে একটি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু করতেই পারে রাজ্য সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
এসসিএন/এইচএডি