আগরতলা (ত্রিপুরা): কড়কনাথ প্রজাতির মোরগ নিয়ে বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল খুব বেশি। অনেকের ধারণা কুচকুচে কালো রঙের এই মুরগি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো।
মানুষের উৎসাহ লক্ষ্য করে আগরতলা লেম্বুছড়ার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর এগ্রিকালচার রিসার্চর (আইসিএআর) ত্রিপুরা সেন্টারের পোল্ট্রি ডিভিশন কড়কনাথ মোরগ পরিক্ষামূলকভাবে পালন শুরু করেছে। এই বিভাগের প্রধান ড. বিনয় সিংহ বাংলানিউজকে জানান, কড়কনাথ মোরগের প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক আগ্রহ দেখে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এই জাতের মুরগি নিয়ে আসা হয় আইসিএআর আগরতলা সেন্টারে। উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ইজ্জতনগর এলাকার ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে ডিম আনা হয়। পরে এখানকার হ্যাচারিতে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে তাদের পালন করা হচ্ছে।
পরীক্ষামূলকভাবে পালন করে তারা দেখছেন এই প্রজাতির মোরগের বৃদ্ধি কেমন। বাচ্চা বয়স থেকে শুরু করে পূর্ণ বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত এদের মৃত্যুর হার কত। সবকিছু পর্যবেক্ষণ করার পর যদি দেখা যায় এই মোরগ ত্রিপুরা রাজ্যের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ভালোভাবে বেড়ে উঠছে এবং ব্যবসায়ীকভাবে লাভজনক তবে এই মোরগ খামার ও সাধারণ মানুষদের দেওয়া হবে পালনের জন্য।
তিনি আরও জানান, নতুন আবহাওয়ায় কোনো প্রজাতির প্রাণিকে পালন করতে হলে নূন্যতম ১৮ মাস নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হয়।
সাধারণ মানুষের ধারণা কড়কনাথ মোরগের মাংস শরীরের পক্ষে উপকারী বিশেষ করে কম কোলেস্টেরলের জন্য এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদিও এটা পরিক্ষায় প্রমাণিত হয়নি তবে এই প্রজাতির মোরগের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। যেমন এর পালক থেকে শুরু করে ঠোঁট, পা সবকিছু কালো রঙের হয়ে থাকে। এমনকি মাংস ও হাড়ও কালচে হয়। ফাইব্রোমেলোনোসিস নামক জিনের কারণে এদের রঙ কালো হয়ে থাকে। এই জন্য অন্যান্য প্রজাতির মোরগের মাংসের তুলনায় কড়কনাথের মাংসে প্রোটিন বেশি হয়ে থাকে।
আইসিএআর ত্রিপুরা সেন্টার এখনো এই প্রজাতির মোরগের মাংসের দাম নির্ধারণ করেনি তবে এক কেজি কড়কনাথ মুরগির মাংস বারোশ রুপিতে থেকে এক হাজার রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনিও কড়কনাথ মুরগির বাণিজ্যিক ফার্মিং করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২১
এসসিএন/কেএআর