ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

বিলোনিয়া-ফেনী রেল সংযোগের জরিপ সম্পন্ন

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২১
বিলোনিয়া-ফেনী রেল সংযোগের জরিপ সম্পন্ন

আগরতলা (ত্রিপুরা): এবার ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া থেকে বাংলাদেশের ফেনীর মধ্যে দিয়ে রেলপথ সংযোগ স্থাপনে কাজ করছে ভারত সরকার। ইতোমধ্যে উত্তর-পূর্ব সীমান্তে নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার্স রেলওয়ে (এনএফআর) জমি জরিপের কাজ শেষ করেছে।

আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে রেলপথ স্থাপনের কাজ চলাকালীন বিলোনিয়া থেকে বাংলাদেশের ফেনীর মধ্যে দিয়ে রেলপথ সংযোগ স্থাপনের জমির জরিপ করা হয়। এ রেল সংযোগের ক্ষেত্রে বিলোনিয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব হবে ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার।

চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জরিপের রিপোর্ট ভারত সরকারের রেল বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অংশের জমির জরিপের কাজ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

জরিপের রিপোর্ট ভারতের বিদেশ মন্ত্রক রেল বোর্ডকে পাঠাবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। নতুন এ রেলপথ স্থাপনের অনুমোদন পেলে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে এটি হবে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক রেলপথ।  

পাশাপাশি ত্রিপুরার ধলাই জেলার জওহরনগর থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের মিজোরাম রাজ্যের দার্লং হয়ে মিয়ানমারের কলই পর্যন্ত নতুন রেল সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে ভারত সরকার।

এছাড়া ধর্মনগর থেকে কৈলাসহর, কমলপুর, খোয়াই, মোহনপুর আগরতলা, কমলাসাগর, বক্সনগর, সোনামুড়া, কাঁঠালিয়া এবং রাজনগর হয়ে বিলোনিয়া পর্যন্ত আরো একটি রেলপথ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর জেলার ধর্মনগর থেকে আরও একটি রেলপথ কাঞ্চনপুর, ছামনু, গন্ডাছড়া, অমরপুর ও করবুক হয়ে একে বারে দক্ষিণের শহর সাব্রুম পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের জন্য ত্রিপুরা সরকারের তরফে ভারত সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।  

ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজীৎ সিংহ রায় লিখিত ভাবে বিধানসভায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২১
এসসিএন/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।