ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৮

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
ত্রিপুরায় উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ লক্ষ্মী-নারায়ণ বাড়ি মন্দিরে মানুষের ভিড়। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা, (ত্রিপুরা): সারা ভারতজুড়ে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ-১৪২৮। এদিন ত্রিপুরাজুড়েও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে নববর্ষ।

সকাল থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী সাধারণ মানুষ বাড়িতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গণেশ পূজার আয়োজন করেন।

আবার কেউ কেউ আগরতলার লক্ষ্মী-নারায়ণ বাড়ি মন্দিরসহ অন্যান্য মন্দিরে হালখাতার পূজা দিয়ে নতুন বছরে নতুনভাবে ব্যবসার সূচনা করেন। তাই সকাল থেকে মন্দিরে মন্দিরে পূণ্যার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। করোনা মহামারির কারণে এদিন সকাল থেকে পুরোহিতরা লক্ষ্মী-নারায়ণ বাড়ি মন্দিরে বাইরে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং মুখে মাস্ক লাগিয়ে হালখাতার পূজা দেওয়ার জন্য বসেন।  
প্রথমে শারীরিক দূরত্বের বিষয়টা কিছুটা বজায় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে তাই সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি অনেকটা ভেস্তে যায়। প্রতিবছর নববর্ষের দিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসতো কিন্তু গত বছর করোনার কারণে পূণার্থীদের জন্য মন্দিরও খোলা হয়নি। এবছর মন্দির খোলা হলেও ভিড় এড়াতে মন্দিরের বাইরে কোনো মেলা বসার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। একইভাবে অন্যান্য যেসব জায়গাতে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হতো এগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে এবছর।  

অপর দিকে মানুষের মধ্যে প্রচলিত একটি প্রবাদ আছে যে বছরের প্রথম দিন ভালো খাবার খেতে হয় ও নতুন জামা কাপড় পরতে হয়। তাই যে যার সাধ্য মত জামা কাপড় আগে থেকে কিনেন এবং বছরের প্রথম দিন মাছ, মাংস থেকে শুরু করে মিষ্টির দোকানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজার, বটতলা বাজার, লেক চৌমুহনী বাজার, মঠ চৌমুহনীসহ অন্যান্য বাজারগুলোতে প্রচুর সংখ্যক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মাছ, মাংসসহ অন্যান্য সবজির দাম তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি ছিল এদিন। এ সময় ইলিশ মাছ ডিম পাড়ে তাই গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসছেন। ইলিশ মাছের ডিম পাড়ার বিষয়টির কারণে ত্রিপুরা রাজ্যের সচেতন মহলের মানুষ পহেলা বৈশাখে ইলিশ মাছ কিনেন না। তবে একাংশ মানুষ এখনো এই উৎসবে ইলিশ খান তাই ব্যবসায়ীরা কলকাতা এবং মহারাষ্ট্র রাজ্য থেকে আরব সাগরের ইলিশ মাছ এনে বিক্রি করছেন। ১ কেজি থেকে ১২শ গ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশ ১৪শ রুপি প্রতিকেজি এবং ১ কেজি বা তার চেয়ে সামন্য কম ওজনের ইলিশ ১২শ রুপি প্রতিকেজি দরে বিক্রি করছেন।  তবে, ব্যবসায়ী মহলে দাবি দিন দিন ইলিশের চাহিদা কমছে। আগে পহেলা বৈশাখের দিন যে পরিমাণ ইলিশ বাজারে বিক্রি হতো এখন সেই পরিমানে বিক্রি হয় না বলে জানান ব্যবসায়ীরা আগরতলার বটতলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ধীমান দাশ। বাজারেও অনেক কম সংখ্যায় ইলিশ লক্ষ্য করা যায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।