আগরতলা (ত্রিপুরা): প্রতিদিনই পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দলের কোনো না কোনো নেতা ত্রিপুরা রাজ্যে এসে দলীয় কর্মসূচি করছেন। শাসক দল বিজেপি রাজ্যে বিরোধী দলের নেতাদের এই আনাগোনাকে সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে এ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
মিছিলটি আগরতলা রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এ মিছিলে বিজেপির যুব মোর্চা, মহিলা মোর্চা ও অন্যান্য শাখা সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন।
মিছিল শুরুর আগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে দলের ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘ত্রিপুরা রাজ্যে যা কিছু হচ্ছে তা বিরোধী বামেদের জন্যই হচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘বামেরা এখন আগাছায় পরিণত হয়েছে এবং নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তারা পরগাছা খুঁজছিলো। অবশেষে তৃণমূলকে পরগাছা হিসেবে পেয়েও গিয়েছে। তবে রাজ্যবাসী তাদের এসব চালাকি বুঝতে পারছেন এবং সময়মতো তাদের যোগ্য জবাব দেবেন। ’
এদিকে বিভিন্ন দলের কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। শুক্রবার বিকেলে আগরতলার একটি হোটেলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুসহ অন্যান্য নেতাদের উপস্থিতিতে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ত্রিপুরা প্রদেশ যুব কংগ্রেসের নেতা শান্তনু রায় তার সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পর শান্তনু রায় বলেন, আজ (শুক্রবার) অনেক বেশি সংখ্যক লোক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে মাত্র ২০ থেকে ২৫ জন সদস্যকে এনে যোগদান করানো হলো। এরপরও পুলিশ তাদের আসতে বাঁধাও দিচ্ছিল।
এ সময় তিনি আগরতলা শহরে শাসক দল বিজেপির উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলের তীব্র সমালোচনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২১
এসসিএন/আরআইএস