আগরতলা (ত্রিপুরা): আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার উদ্যান ও ফল গবেষণা কেন্দ্রে কলা চাষের ওপর বিশেষ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব সি কে জমাতিয়া এবং আইসিএআর তামিলনাড়ু সেন্টারের গবেষক ড. ভি কুমার।
কর্মশালায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা উপস্থিত হন। কি করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উন্নত প্রজাতির অধিক ফলনশীল কলা চাষ করতে হয় তা হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেন বিশিষ্ট গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা।
কর্মশালায় দেওয়া বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, আগে রাজ্যে কৃষকদের সম্মান ছিল না। এর কারণ ক্ষেত মজুরের নামে কৃষকদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হতো। তখন কৃষকদের তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। বর্তমান রাজ্য সরকার কৃষকদের সম্মান দিচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের সময় কৃষি ক্ষেত্রে রাজ্য ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। এই সরকারের আমলে খোলা জায়গায় ফুল চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পয়েছে দ্বিগুণের বেশি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যে ফুল চাষ হতো ২১৭ হেক্টর জমিতে, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪৯২ হেক্টর। একইভাবে ভুট্টা চাষসহ অন্যান্য ফসলের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি বাগানগুলোতে নতুন করে আবার চাষাবাদ করা হচ্ছে।
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, ভারতের সবচেয়ে বেশি লোক কৃষির সঙ্গে যুক্ত। এই সব কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য নানা প্রকল্প চালু করেছেন। একই ভাবে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সরকার এই প্রকল্পগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়, এজন্য রাজ্য সরকারও উদ্যোগ নিয়েছে।
এই গবেষণা কেন্দ্র চত্বরে তিন কোটি রুপি ব্যয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম অত্যাধুনিক শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সবজি ও ফল প্যাকেজিং সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। এই সেন্টার এবং উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রের সবজি ও ফল চাষের যেসব প্লট রয়েছে সেগুলো ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২১
এসসিএন/এমআরএ