আগরতলা, (ত্রিপুরা): চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ‘দুর্গোৎসব’। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরার আগরতলার কুমারটুলিতে প্রতিমা বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।
করোনা মহামারি তাদের মুখের এ হাসি ছিনিয়ে নিয়েছে জানিয়ে আগরতলা জয়নগরের মৃৎশিল্পী সমীর চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, করোনা মহামারির শুরুর আগে পূজার সময় দুর্গাপ্রতিমার অনেক অর্ডার আসতো। তখন এত কাজ শেষ করা যেতো না। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত প্রতিমা তৈরির জন্য পূজা কমিটির থেকে কোনো লোক আসেনি। তবুও নিজেদের মতো করে কিছু সংখ্যক প্রতিমা তৈরি করেছি।
তিনি বলেন, এবার অনেকে কিছুটা সাহস করে প্রতিমা তৈরি করলেও বহু শিল্পী আর্থিক সংকটের কারণে প্রতিমা তৈরি করছেন না। কারণ আদৌ এ বছর দুর্গাপূজা হবে কিনা তা এখনো কেউ নিশ্চিত নয়। এরপরেও তিনটি বড় আকারের প্রতিমার কাঠামো তৈরি করেছি। যদি প্রশাসন বিশাল আকারের এ প্রতিমা দিয়ে পূজা করার অনুমতি না দেয় তবে এগুলো ফেলে রাখতে হবে আগামী বছরের জন্য।
প্রতিমার কাঠামোগুলো তৈরিতে একেকটিতে ৬০ থেকে ৭০ হাজার রুপি করে খরচ করা হয়েছে জানিয়ে মৃৎশিল্পী সমীর চক্রবর্তী বলেন, অন্যান্য বছর এ সময় ১০ থেকে ১২ জন শিল্পী একসঙ্গে কাজ করতেন। কিন্তু এবার মাত্র ৬ জন শিল্পী নিয়ে কাজ করেছি। কারণ বেশি সংখ্যক কর্মী রাখলে তাদের দৈনিক বেতন দিতে হতো।
তিনি বলেন, আগরতলার অন্যান্য মৃৎশিল্পীদের মধ্যে কেউ কেউ এক দুটি করে প্রতিমা তৈরি করছেন। আবার অনেকে গত দুই বছর ধরে মনসা, বিশ্বকর্মা, লক্ষ্মী ইত্যাদি দেবদেবীর প্রতিমা গড়লেও এ অনিশ্চয়তার কারণে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন না।
সবমিলিয়ে মৃৎশিল্পীরা চরম আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২১
এসসিএন/এএটি