ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

বনজ সম্পদকে ভিত্তি করে ত্রিপুরার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে: গিরিরাজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২১
বনজ সম্পদকে ভিত্তি করে ত্রিপুরার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে: গিরিরাজ

আগরতলা, (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ জমি সবুজ অরণ্যে ঢাকা। এই বনের মধ্যে নানা ধরনের ওষুধি গাছ জন্মে।

এরমধ্যে অন্যতম একটি ওষুধি লতা হচ্ছে গিলয়। তাই ভারত সরকার ত্রিপুরা রাজ্যকে ভিত্তি করে এখানে একটি গিলয়ই হাব তৈরি করতে চায়।  

সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে আগরতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন ভারত সরকারের গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী গিরিরাজ সিং।  

তিনি বলেন, এই রাজ্যে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। এই বাঁশকে ভিত্তি করে রাজ্যে চারকোল তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে সারা বিশ্বব্যাপী চারকোলের চাহিদা রয়েছে এবং দিন দিন এই চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিষয়গুলি বিবেচনায় রেখে ভারত সরকার ত্রিপুরা রাজ্যে চারকোল কারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে।  

মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে বাঁশকে ভিত্তি করে প্রচুর পরিমাণে কুটিরশিল্পজাত সামগ্রী তৈরি হয়। এসব সামগ্রী তৈরির পর বাঁশের একটা বড় অংশ পরিত্যক্ত হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়। এই পরিত্যক্ত অংশগুলি দিয়ে চারকোল তৈরি করা হবে। এই কাজে ভারত সরকারের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের পালংপুর এলাকার সি এস আই আর ইনস্টিটিউট সহায়তা করবে।  

মন্ত্রী আরও বলেন, এই মাসে এই চারকোলের প্রতি কেজির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ৫ ইউএস ডলার মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। রাজ্যে আরো বেশি পরিমাণ চারকোল উৎপাদন করার জন্য বিভিন্ন এলাকা স্ব সহায়ক দলের সঙ্গে যুক্ত নারীদেরকেও একাজে লাগানো হবে।  

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং বর্তমান সরকার কাজ করছে। ২০২৩ সালের মধ্যে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় যে সব নারী আয় ৮ হাজার থেকে ১০ হাজাল রুপির মধ্যে রয়েছে তাদের রোজগার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভারত সরকার কাজ করছে। এতে দারুণভাবে সহযোগিতা করছে ত্রিপুরা বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।

সেইসঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক রাবার এবং আগর উৎপাদিত হচ্ছে। এগুলো কী কাজে লাগে মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এই কাজে ত্রিপুরা রাজ্যের বনদপ্তর এবং জনজাতি কল্যাণ দপ্তরকেও যুক্ত করা হবে।  

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরো বলেন, এসব চারকোল পানি থেকে শুরু করে চিনিসহ বড় বড় কারখানায় এবং গৃহস্থালি পানি শোধনের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এদিন আগরতলার রাজ্য অতিথিশালায় আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ।

অপরদিকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজে গিলয় লতা দারুণভাবে উপকারী। করোনা মহামারি দেখা দিলে হঠাৎ করে এই লতার চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২১
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।