আগরতলা (ত্রিপুরা): করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী চলাচলের বিষয়ে কিছুটা শিথিলতা অবলম্বন করেছে উভয়দেশ।
যাত্রী চলাচলের জন্য সীমিত পরিসরে বেনাপোল, আখাউড়া, হিলি, বুড়িমারী, দর্শনা, সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে যাতায়াত শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী চলাচলের জন্য এখন বাংলাদেশি অথবা বিদেশি নাগরিক সুরক্ষা সেবা বিভাগ অথবা বাংলাদেশ মিশনগুলোর অনাপত্তিপত্রের প্রয়োজন হচ্ছে না।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সরকারি হাইকমিশনের সহকারী হাই কমিশনার মোহাম্মাদ জোবায়ের হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তবে চলাচলের সময় যে বিষয়গুলো কঠোরভাবে মানতে হবে, সেগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশে প্রবেশের সময় সব বাংলাদেশি এবং বিদেশি নাগরিক আবশ্যিকভাবে ৭২ ঘণ্টা মেয়াদি কোভিড-১৯ এর RT-PCR ভিত্তিক নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। রিপোর্ট আবশ্যই যাচাইযোগ্য QR কোড যুক্ত হতে হবে।
দ্বিতীয় ডোজ টিকা সম্পন্নকারী দেশি অথবা বিদেশি যাত্রী টিকা সম্পন্ন করার পর স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে টিকা কার্ড বা উপযুক্ত প্রমাণ এবং RT-PCR নেগেটিভ কোভিড-১৯ রিপোর্ট প্রদর্শন করে সরাসরি নিজ গন্তব্যে যাত্রা ও অবস্থান করতে পারবেন। তারা হোম কোয়ারেন্টিনের আওতামুক্ত থাকবেন তবে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করবেন।
টিকা সম্পন্ন না হলে ৭২ ঘণ্টা মেয়াদি RT-PCR ভিত্তিক নেগেটিভ কোভিড-১৯ রিপোর্ট প্রদর্শন ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত বিধি অনুসরণ করে বাংলাদেশে প্রবেশের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীদের নিজ খরচে RT-PCR/রেপিড এন্টিজেন টেস্ট সম্পন্ন করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। টেস্টের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে তাদের কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টিম সিদ্ধান্ত নেবে। টেস্টের ফলাফল আসা পর্যন্ত ওই ব্যক্তিরা জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
এসসিএন/এমআরএ