আগরতলা (ত্রিপুরা): বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন মুক্তার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করা হচ্ছে এসব মুক্তা।
ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার বিশালগড় এলাকার বাসিন্দা যুবক চিত্তরঞ্জন দত্ত ২০২০ সালে প্রথম পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে মুক্তাচাষ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নেন এবং বাড়ি ফিরে দুটি পুকুরে মুক্তা চাষ শুরু করেন।
চিত্তরঞ্জন দত্ত বাংলানিউজকে জানান, প্রথম বার বাণিজ্যিক ভাবে সফলতা আসায় তিনি এবছর আরও কয়েকজনের সঙ্গে চুক্তি করে মোট ৫টি পুকুরে মুক্তা চাষ করেছেন। প্রথম বছর প্রায় দেড় হাজার ঝিনুক চাষ করে সেগুলো বিক্রি করে তিনি লাভ পেয়েছেন প্রায় ১লাখ রুপি। এবার সব মিলিয়ে প্রায় ১৩হাজার ঝিনুক চাষ করেছেন। আগামী বছরের প্রথম দিকে এ ঝিনুকগুলো থেকে মুক্তা আহরণ করা সম্ভব হবে।
তিনি জানান, একটি ঝিনুক থেকে দুটি করে মুক্তা পাওয়া যায়, তাই কিছু পরিমাণ ঝিনুক নষ্ট হলেও ২৫হাজারের মতো মুক্তা সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এবছর এ মুক্তাগুলো বিক্রি করলে প্রায় ১৫লাখ রুপি লাভ হতে পারে।
রাজ্যের আগ্রহী যুবকরাও যেন এ মুক্তা চাষ করতে পারে তার জন্য রাজ্যে এ সংক্রান্ত বিষয়ে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হলে খুব অল্প পুঁজিতে আগ্রহী মানুষ এর চাষ করতে পারবেন। ট্রেনিং চালু করার জন্য রাজ্যের বহু যুবক তাকে একাধিক বার অনুরোধ করেছেন বলেও জানান চিত্তরঞ্জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
এসসিএন/জেডএ