আগরতলা, (ত্রিপুরা): চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর আগরতলা পৌর নিগামসহ রাজ্যের ২০টি পৌর সংস্থার স্থানীয় সরকার গঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এখন ক্ষমতাসীন দল বিজেপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
খাবার পানি, ড্রেনে সমস্যা, বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা দূর করা, মশার উৎপাত নিধনসহ নাগরিক পরিষেবাকে সুস্থ ও সুন্দর করে তোলার আহ্বানকে সামনে রেখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন প্রার্থীরা।
বামফ্রন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিজেপি রাজ্যের শাসন ক্ষমতা দখল করলেও আগরতলা পৌরনিগমেরসহ রাজ্যের অন্যান্য পৌর সংস্থাগুলির ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট। ২০২০ সালের নভেম্বর মাস রাজ্যের পৌর সংস্থাগুলির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও করোনা মহামারির কারণে সময় মতো ভোট করা যায়নি। ফলে পৌর সংস্থা গুলির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলেও সরকারি কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছিলেন। অবশেষে রাজ্যে করোনার প্রকোপ কম হয় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন দপ্তর। একদিকে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এই পৌর সংস্থাগুলির দায়িত্ব পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। অপরদিকে বামফ্রন্ট আবার পৌর সংস্থাগুলির দখলের মাধ্যমে রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরে আসতে চাইছে। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস দল পৌরসংস্থার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরায় তাদের দলকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রতিটি দল ভোটারদের মন জয় করার জন্য ময়দানে নেমেছে। এখন দেখার বিষয় ভোটাররা কার কথা শুনেন এবং ২৫ নভেম্বর কোন দলকে বিজয়ী করার জন্য ভোট দেন। ভোটারদের রায় জানতে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কারণ ওইদিন ভোট গণনা হবে এবং আগামী পাঁচ বছরের জন্য কোন দলকে পৌর সংস্থাগুলিকে পরিচালনার দায়িত্ব দেন তা বোঝা যাবে। পাশাপাশি ২০২৩ সালে ত্রিপুরা রাজ্যের পরবর্তী নির্বাচনে কোন দলকে ভোটাররা চাইছেন তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে ধারণা অভিজ্ঞ মহলের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২১
এসসিএন/এএটি