আগরতলা, (ত্রিপুরা): সরকারি অর্থ পেলে ড্রাগন ফলকে রোজগারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে চান ত্রিপুরার ধলাই জেলার অন্তর্গত গন্ডাছড়া বাজারের পার্শ্ববর্তী ষাটকার্ড এলাকার বাসিন্দা পেশায় চাষি বিকাশ দাস।
তিনি জানান, টেলিভিশনসহ ইউটিউব দেখে জানতে পারেন ড্রাগন চাষ অত্যন্ত লাভজনক।
প্রথম বছরেই ফলন ভালো হয়েছে এবং ৫শ রুপি কেজি দরে বিক্রি করেছেন তিনি। এখন তার বাগানে মোট ৪৮টি ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। প্রথম বছরে এই গাছগুলো থেকে প্রায় ১শ কেজি ফল পেয়েছেন তিনি। এখন রাজ্য সরকার উৎসাহী কৃষকদের সরকারি করেছে ড্রাগন ফলের বাগান করে দিচ্ছে বলেও তিনি জানতে পেরেছেন। তাই সরকারের কাছে তার আহ্বান তাকেও যেন একটি ড্রাগন ফলের বাগান করে দেওয়া হয়। ড্রাগন ফলের বাগান করার মতো কিছু পতিত জমিও তার রয়েছে বলেও জানিয়েছেন। যেহেতু ড্রাগন ফল চাষ অত্যন্ত লাভজনক তাই স্থানীয় এলাকার উৎসাহী চাষিদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করার বিষয়ক তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এই বিষয়ে তার বক্তব্য হলো, নিজে এই ফল চাষ করে বুঝতে পেরেছেন খুব বেশি কষ্টসাধ্য নয় এর চাষ। ফলে যে কেউ চাইলে একটি চাষ করতে পারবেন। এই অবস্থায় শিক্ষিত বেকার যুবকদের প্রতি তার আহ্বান তারা যেন পড়াশোনা শেষে সরকারি চাকরির জন্য অহেতুক সময় নষ্ট না করে ড্রাগন চাষের উদ্যোগ নেন। তবে, তারা অল্প সময়ে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২১
এসসিএন/এএটি