আগরতলা (ত্রিপুরা): দুদিনের সফরে রোববার (২ জানুয়ারি) ত্রিপুরার আগরতলা এসে পৌঁছেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন দুপুরে তিনি আগরতলা বিমানবন্দর অবতরণ করেই চলে যান পুরাতন আগরতলায় অবস্থিত চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে।
পূজা শেষে তিনি সেখান থেকে চলে যান খোয়াই জেলার অন্তর্গত তেলিয়ামুড়া এলাকার এক কর্মীর বাড়িতে। সেখানে দুপুরের খাবার সেরে তেলিয়ামুড়ার পার্শ্ববর্তী বড়মুড়া ইকোপার্কে একটি দলীয় কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নেন তিনি।
পূজা শেষে তেলিয়ামুড়া যাওয়া সময় সংবাদ মাধ্যমকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মন্দিরে পূজা দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনা করেছেন তিনি। নতুন বছর যাতে সবার জীবনে আরও সমৃদ্ধ এবং সুখ-শান্তি বয়ে আনে এজন্য তিনি প্রার্থনা করেছেন। এ মন্দিরে পূজা দিয়ে ত্রিপুরার মাটিতে আবারও নতুন করে দলের কার্যক্রম শুরু হলো।
তিনি বলেন, বিজিপির অপশাসন থেকে ত্রিপুরাকে মুক্ত করার যে সংকল্প নেওয়া হয়েছে সেই যুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রতিটি কর্মী-সমর্থক অবিচল থাকবে। বিজেপিকে রাজ্যের এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়া হবে না, যুদ্ধক্ষেত্রে আমরা অবিচল। সদ্য সমাপ্ত আগরতলা পৌরনিগম নির্বাচন এবং রাজ্যের অন্যান্য পৌর সংস্থাগুলোর নির্বাচনে তার প্রতিফলন দেখা গেছে। মাত্র তিন মাস আগে যে দল নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে ছিল শত বাধা উপেক্ষা করে গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করে ভালো ফল করেছে। রাজ্যজুড়ে ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে এবং আগরতলায় ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস দল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে’, রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। রাজ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি। সকাল-বিকেল মানুষের ওপর হামলা হচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তৃণমূল কংগ্রেস দলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ছাড়া কিছুই করার নেই তাদের। নিজেদের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েম করে রাখার জন্য ঘরে ‘গুন্ডা মডেলে’ চলছে ত্রিপুরা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বলেন, ত্রিপুরায় কী উন্নয়ন হয়েছে এবং বাংলায় কি উন্নয়ন হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক করতে চাইলে রাজি আছি। মঞ্চ তৈরি করে মুখোমুখি ডাকা হলে রিপোর্ট হাজির হবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২২
এসসিএন/আরআইএস