ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

বাংলাদেশ-ত্রিপুরার মধ্যে যোগাযোগ মজবুতের কাজ চলছে: মোদি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২২
বাংলাদেশ-ত্রিপুরার মধ্যে যোগাযোগ মজবুতের কাজ চলছে: মোদি মঞ্চে হাত উঁচিয়ে জনগণকে সাড়া দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা, (ত্রিপুরা): বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও মজবুত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) আগরতলায় সফর এসে নরেন্দ্র মোদি এ কথা জানান।

এদিন বিকেল তিনি বিশেষ বিমানে আগরতলায় আসেন এবং আগরতলার এম বি বি বিমানবন্দরের নবনির্মিত টার্মিনাল ভবনটি ঘুরে দেখেন। তখন তার সঙ্গে ছিলেন ভারত সরকারের বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেব বর্মণ প্রমুখ।  

বিমানবন্দর থেকে তারা সোজা চলে আসেন রাজধানীর আস্তাবল ময়দানে। সেখানে এসে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগী সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে মঙ্গলবার ত্রিপুরা তিনটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এগুলো- মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরের ৪৩৮কোটি রুপি ব্যয়ে নবনির্মিত টার্মিনাল ভবন, রাজ্যের ১শটি স্কুলে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প, ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলিকে নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন করার মিশন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বলেন, আগে ত্রিপুরায় উন্নয়ন বলে কিছু ছিল না, তাই তিনি রাজ্যবাসীকে হীরা মডেলের কথা বলেছিলেন এবং রাজ্যবাসী তার কথা শুনেছেন। হীরা শব্দের অর্থ হচ্ছে এইচ-হাইওয়ে, আই ইন্টারনেট, আর- রেলওয়ে এবং এ-এয়ারওয়েজ। ত্রিপুরার এই নতুন বিমানবন্দরে নামলেই রাজ্যের উন্ননের চিত্র নজরে আসবে।  

বর্তমান সরকার এই অঞ্চলের উন্ননের জন্য যে পরিমাণ অর্থ দিয়েছে তা আগে কখনো দেওয়া হয়নি। ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার আর উন্নতির জন্য ব্যাপক কাজ হচ্ছে। রেল, রোড ও জলপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য কাজ চলছে। ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিনের সরকার এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলছে।  

এবছর ত্রিপুরা পূর্ণরাজ্য হওয়ার ৫০তম বছর। এই সময়ে নানা উন্নষনের কর্মযজ্ঞ চলছে। বর্তমান রাজ্য সরকার গরিবের সাথী ও তাদের দুঃখ বুঝে, তাই তারা রাজ্যের আপামর জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। আপনার নিজেরাই বুঝতে পারছেন আগের সরকারের সময় কি গতিতে কাজ হতো এবং ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের কি গতিতে কাজ হচ্ছে। ত্রিপুরার বর্তমান সরকার আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার জন্য যুব প্রজন্মকে তৈরি করছে। ত্রিপুরা রাজ্য দেশের মধ্যে করোনার টিকা কারণেও রেকর্ড করেছে।  

রাজ্যে বাঁশকে ভিত্তি করে বিস্কুটসহ নানা সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। একাজে রাজ্যে নারীদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প দেওয়ার জন্য ত্রিপুরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে। অর্গানিক চাষেও রাজ্য বিশেষ ভূমিকা রাখছে ত্রিপুরা। সবশেষে ত্রিপুরার আরও অনেক উন্নতির কামনা করে তার বক্তব্য শেষ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২২
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।