আগরতলা, (ত্রিপুরা): ২০২০-২১ সালের অর্থবছরে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের মোট আয় হয়েছে ১৪ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭৯ রুপি, মোট খরচ হয়েছে ১৩ কোটি ১৭ লাখ ১৪ হাজার ১২৮ রুপি, মোট লাভ হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৫১ রুপি।
ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের কারখানায় এ বছর কাচা পাতা প্রক্রিয়া করে মোট চা পাতা তৈরি করা হয়েছে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৬ কেজি।
এ তথ্য বাংলানিউজকে দিয়েছেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তুষ সাহা।
তিনি জানান, নিগমের উৎপাদিত চা পাতার গড় বিক্রির মূল্য ছিল ১৮০ রুপি প্রতি কেজি। নিলামের মাধ্যমে ৪ লাখ ৪০ হাজার কেজি চা পাতা বিক্রি করা হয়েছে, গড় বিক্রির মূল্য ছিল ২শ রুপি প্রতি কেজি। স্থানীয় বাজার এবং সরকারি ন্যায্যমূল্য দোকানের মাধ্যমে মোট ২ লাখ ৫ হাজার কেজি চা পাতা বিক্রি করা হয়েছে, এগুলো গড় বিক্রির মূল্য ছিল ১৬০ রুপি প্রতি কেজি।
২০২১-২২ সালের অর্থ বছরে নিগমের বাগানগুলো থেকে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৪৮২ কেজি কাচা পাতা উৎপাদিত হয়েছে। নিগমে এখন ৩০ জন কর্মচারী এবং ৫৫০ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। শুধু এখানেই শেষ নয়, চা উন্নয়ন নিগম লিমিটেড আরেকটি মিনি কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটি হবে উত্তর জেলার মাছমারা এলাকায়।
আগরতলার পার্শ্ববর্তী দূর্গাবাড়ী এলাকার ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি রয়েছে। এখন এই কারখানার চা পাতা ড্রাই করার ড্রায়ারটিতে কয়লা ব্যবহার করা হয়। তবে, খুব দ্রুত কয়লার পরিবর্তে ড্রায়ারটি চালানো হবে পাইপলাইনের গ্যাস দিয়ে। এর ফলে খরচ অনেকটা কম হবে এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে গ্যাস কয়লার তুলনায় অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব ফলে ধোঁয়া হবে না এবং পরিবেশে অনেক কম কার্বন নিঃসরণ হবে।
এই গ্যাস সরবরাহ করবে টি এন জি সি এল লিমিটেড বলেও জানিয়েছেন। আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ কারখানা দুটিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
এসসিএন/এএটি