আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার অন্তর্গত ডুকলী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা সবজির প্লট ঘুরে দেখলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজীৎ সিংহরায়।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ডুকলী ব্লক অফিসের সবজির ক্ষেত পরিদর্শন করেন তিনি।
গত দুই বছর আগে ডুকলী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে অজয় কুমার দাস দায়িত্ব নেওয়ার পর জৈব পদ্ধতিতে সবজি চাষের উদ্যোগ নেন। তিনি মূলত ব্লক অফিসের পাশে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত জমির জঙ্গল পরিষ্কার করে এই জমিতে সবজি আবাদ শুরু করেন। এখন প্রতি বছর সরকারি জমিতে আলু, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ শীতকালীন এবং গ্রীষ্মকালীন সবজি, কলা, ড্রাগন ফল, সবেদা ইত্যাদি চাষ করা হচ্ছে। এই সবজি বিক্রি করে যে অর্থ আসছে তা সরকারি কোষাগারে জমা করা হচ্ছে। অজয় কুমার দাসের এই উদ্যোগ বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।
তাই এই কৃষিকাজ সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করতে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজীৎ সিংহরায় সেখানে যান। তিনি পুরো সবজির জমি ঘুরে দেখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাপরিষদের চেয়ারপার্সন অন্তরা দত্ত সরকার, অজয় কুমার দাসসহ কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিকরা।
পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী প্রণজীৎ সিংহরায় বলেন, এটি খুব প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এভাবে সরকারি পতিত জমিকে চাষের কাজের উপযোগী করে তোলার বিষয়টি আগে তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। এই সবজি বাগান থেকে কত রোজগার হল তা কোনো বড় বিষয় নয়। সরকারি পতিত জমি কাজে লাগানোর পরিকল্পনা অনুপ্রেরণা দেওয়ার মত। আগামী দিন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পতিত জমি যাতে কৃষি কাজে লাগানো যায় এই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ত্রিপুরার বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে কি করে জমির অধিক ব্যবহার করা যায়। সরকারের এই পরিকল্পনা রূপায়নে অজয় কুমার দাস দারুণ ভূমিকা নিয়েছেন বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
এসসিএন/এমআরএ