আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার গোমতী জেলার উদয়পুরের সুখসাগর জলাশয়ে পরিযায়ী পাখি হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎপর হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকারের বন দপ্তর।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে বন দপ্তরের প্রিন্সিপ্যাল চিফ কনজারভেটার অব ফরেস্ট (পিসিসিএফ) ডি.কে শর্মা জানান, বিষয়টি নজরে আসার পর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তারাও জানতে পারেন প্রচুর সংখ্যায় পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর বিষয়ে। সঙ্গে সঙ্গে বন দপ্তরে স্থানীয় কর্মচারীরা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করেন। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অনেক খোঁজাখুজি করেও একটিও মৃত পাখি পাননি। সংবাদ মাধ্যমে যেসব জাতের মৃত পাখির ছবি দেখা গিয়েছিল সেসব পাখি পাওয়া গেলে সেগুলি ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যেত।
মৃত পাখির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বন দপ্তরের তরফে স্থানীয় পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তারাও মৃতপাখির সন্ধান দিতে পারেননি। তেমনি কে বা কার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। বন দপ্তরের পাশাপাশি গোমতী জেলা প্রশাসনও এ ঘটনার বিষয়ে খোঁজ করছে। যদি এই পাখিগুলোর মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়ে থাকে এবং এগুলির মাংস মানুষ খায় তবে তাদের শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে। এজন্য শুক্রবার সুখসাগরের পাশ্ববর্তী গ্রামগুলিতে মাইকিং করে জনগণকে শতর্ক করা হয়েছে তারা যেন এই পাখির মাংস না খান।
ডি কে শর্মা আরও জানান, যদি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ ধরা পড়ে তবে তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
এসসিএন/এনটি