আগরতলা,(ত্রিপুরা): ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অনেকটাই সামঞ্জস্য রয়েছে। বিশেষ করে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) এ কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়।
মন্ত্রী জানান ওইদিন সন্ধ্যা রাজধানীর উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে উৎসবের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। উৎসবে বাংলাদেশের এক প্রতিনিধি দলসহ পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলোর ট্যুর অপারেটররা, হোটেল মালিক, পর্যটন আধিকারিক, স্বাধীনতা সংগ্রামী, কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেবেন।
এই সময়ে বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে পর্যটন ক্ষেত্রে রাজ্যের একটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পর্যটনমন্ত্রী প্রনজিত সিংহরায় বলেন, ভাষা, সংস্কৃতি ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও রয়েছে। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এই রাজ্যের অগণিত মানুষ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এজন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছে।
উদ্বোধনের দিন আগরতলায় রোড শো করা হবে। উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রকমারি খাদ্য উৎসব। ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলোর ট্যুর অপারেটরদের নিয়ে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র চৌত্তাখলার ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান, ছবিমুড়া, নীরমহল, সিপাহীজলা, উদয়পুরসহ একাধিক দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখানো হবে। ১৯ এপ্রিল গীতাঞ্জলি পর্যটন আবাসের মিলনায়তনে দুই দেশের পর্যটন বিষয়ক আদান-প্রদান ও ব্যবসা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ট্যুর অপারেটর, হোটেল মালিক এবং দুই দেশের পর্যটন আধিকারিকরা মতবিনিময় সভায় মিলিত হবেন। প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে পর্যটনের উন্নয়নের লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২২
এসসিএন/এএটি