আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরায় একাধিক খামারের প্রাণীর মধ্যে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
গত কিছু দিন ধরে সিপাহীজলা জেলার দেবীপুর এলাকার রাজ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর পরিচালিত শূকরের খামারে শূকরের অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়।
তিনি বলেন, আর এক দফা খামারের শূকরের রক্ত পরীক্ষা করা হবে। সোয়াইন ফ্লু রোগের তেমন কোনো প্রতিষেধক টিকা নেই। তাই এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রাণীদের মেরে ফেলা হয়। ফলে দেবীপুর ফার্মের শূকরগুলোকে মেরে ফেলা হবে। ইতোমধ্যে ছোট বড় মিলে প্রায় ১০০টি শূকরের মৃত্যু হয়েছে। এগুলোকে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র খামারের শূকরই নয়। আশেপাশের এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন শূকরগুলোকেও মেরে ফেলা হবে। এজন্য ভারত সরকারের একটি নীতিমালা রয়েছে। সেই মোতাবেক আক্রান্ত শূকরগুলোকে মেরে ফেলা হবে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি অনুসারে শূকরের মালিকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এ আর্থিক সহায়তার জন্য ত্রিপুরা সরকারের মাধ্যমে কেন্দ্রের কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দপ্তরের যেসব শূকরের খামার রয়েছে এগুলোকে নতুন করে প্রাণীতে তোলা হয়েছিল। এর মধ্যে এ ঘটনা নিঃসন্দেহে আর্থিক ক্ষতি হবে।
রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় যেসব শূকরের খামার রয়েছে এগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর গোটা বিষয়টি নজর রাখছে।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাজ্যের ঊনকোটি জেলার নালিয়ছড়া এলাকার শূকরের খামার পরিদর্শন করে বিশেজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস। যদিও এ খামারে এখনো সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণ হয়নি। তারপরও যাতে খামারের কর্মীরা সতর্ক থাকেন সেজন্য তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে সোয়াইন ফ্লুর প্রাদুর্ভাব কেন দেখা গেল? এ বিষয়ে মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস বলেন, রাজ্যে প্রথম এ সংক্রমণ ধরা পড়ে উত্তর জেলার কাঞ্চনপুর এলাকার দপ্তরের একটি খামারে পালিত শূকরের শরীরে। অনুসন্ধান করে দেখা যায় এই জেলার পার্শবর্তী মিজোরাম এলাকায় প্রচুর পরিমাণে শূকর পালন করা হয়। সেই রাজ্য থেকে প্রথমে কাঞ্চনপুরে সংক্রমণ হয়েছে। এরপর রাজ্যের বিভিন্ন খামারে তা ছড়িছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
এসসিএন/আরআইএস