আগরতলা (ত্রিপুরা): চা শিল্পের ইতিহাস তুলে ধরতে ত্রিপুরায় একটি চা জাদুঘর গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তুষ সাহা।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানী আগরতলার পুরাতন সেক্রেটারিয়াট কমপ্লেক্সের চা উন্নয়ন নিগমের অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ত্রিপুরা রাজ্যের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হলো চা শিল্প। রাজন্য আমলে ১৯০১ সালে রাজ্যে প্রথম চা বাগান গড়ে তোলেন তৎকালীন মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মানিক্য বাহাদুর। তখন তিনি প্রথমে রাজ্যের হীরাছড়া এলাকায় চা বাগান গড়ে তোলেন। কাজের জন্য নিয়ে আসেন হিন্দিভাষী শ্রমিক। এরপর সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্যের চা শিল্পের উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে মোট ৫৪টি বড় চা বাগান রয়েছে। ক্ষুদ্র চা উৎপাদকের সংখ্যাও কম নয়।
এসব বিষয় নতুন প্রজন্মসহ দেশ বিদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে জাদুঘর গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের পক্ষে।
বিষয়টি উল্লেখ করে সন্তুষ সাহা বলেন, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী দুর্গাবাড়ি এলাকার চা উন্নয়ন নিগমের প্রধান চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে জাদুঘর নির্মাণ করা হবে। এখানে শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত চা শিল্পের ক্রমবিবর্তন, চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ছবিসহ নানা তথ্য থাকবে।
তিনি আরও জানান, ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের পক্ষে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব তৈরি করে ভারত সরকারের উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চা জাদুঘর নির্মাণের জন্য সাড়ে তিন কোটি রুপি বাজেট ধরা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী মে মাসের মধ্যে এই জাদুঘর তৈরি করার কাজ শুরু হয়ে যাবে এবং চলতি বছরেই তা চালু করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
এসসিএন/এনএসআর