ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

আগরতলায় ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২২
আগরতলায় ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত

আগরতলা (ত্রিপুরা): আগরতলায় অনুষ্ঠিত হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট-২০২২। ভারতে এই আইটি বিজনেস সামিট প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি(আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (জেল, অগ্নি ও ইএস) রাম প্রসাদ পাল, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, ত্রিপুরা সরকারের শিল্প বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান সচিব পুনীত আগরওয়াল, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আই সি টি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত এবং বিশেষ করে ত্রিপুরাবাসির অবদানের কথা স্মরণ করেন। তারপর তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশ এবং উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে যা শুধুমাত্র ভালো সময়েই নয়, করোনা মহামারীর সময় ভারত বাংলাদেশকে অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেনসহ অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে।

পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি উভয় দেশকে যৌথভাবে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের আরো এক রূপকার হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তার দূরদর্শী চিন্তা-ভাবনার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এখন দেশের লাখ লাখ মানুষ কাজ করছেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের দৈনন্দিন কাজে তথ্যপ্রযুক্তিকে আরো ব্যাপক ভাবে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাগুলোতেও ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সামনে রেখে কাজ চলছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী ত্রিপুরা রাজ্যের গত চার বছরে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বলেও প্রশংসা করেন। ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ জেলায় স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উদ্যোগে বিনিয়োগ করবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন পলক। সেই সঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশে বছরে ৫ কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের প্রয়োজন হয়, এর ৯০ শতাংশের বেশি এখন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের নতুন নতুন আইটি পার্ক গড়ে উঠছে এগুলিতে ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরা আগামী দিনে যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ত্রিপুরাতে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি কাজে ই-পরিষেবা যুক্ত হয়েছে। যখনই ডিজিটাইজেশন যুক্ত হয় তখন দুর্নীতি কমে যায় এবং মানুষের কল্যাণ হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। একইভাবে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে দারুণ সাফল্য লাভ করেছে। উন্নত চিন্তাধারা এবং কাজের ফলে এখন বাংলাদেশে প্রতিদিন এগিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালে অন্যান্য দেশের জিডিপি যখন নিম্নমুখী ছিল এই পরিস্থিতিতেও ভারত এবং বাংলাদেশের জিডিপি উপরের দিকে ছিল।

বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী মহলের প্রতি ত্রিপুরায় এসে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানান বিপ্লব কুমার। কারণ এখানে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ, দ্রুতগতির ইন্টারনেটসহ অন্যান্য সব ধরনের পরিকাঠামো রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেই সঙ্গে আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করা জন্য বাংলাদেশের দিকে কিছু জমি দেওয়ার অনুরোধও জানান।

সামিটে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় উপস্থিত সকলের সামনে। এ সময় ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরাও অংশ নিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘন্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২২
এসসিএন/ইইউডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।