আগরতলা, (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার গোমতী জেলার অন্তর্গত কাঁকড়াবন, জামজুড়ি, পুষামারা, রানী ইত্যাদি এলাকায় অন্যান্য বছরের মতো এবছরও কালো তিলের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। বৃষ্টি এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকা বাম্পার ফলন হয়েছেন।
যেসব জমির ফসল এখনো মাঠে রয়েছে। এগুলো খুব দ্রুত আবাদ করা সম্ভব হবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সুকুমার আকারী, গৌতম দেবসহ স্থানীয় অন্যান্য চাষিরা। অন্যান্য ফসলের তুলনায় তিল চাষে খরচ অনেক কম, রোগ ও পোকার আক্রমণও তুলনায়মূলকভাবে কম এবং অধিক লাভ জনক হওয়ায় প্রায় প্রতিবছর নতুন নতুন জমিতে তিল আবাদ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা। তিলের বাম্পার ফলন হওয়ার ফলে খুশি চাষিরা। ত্রিপুরা সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের কাঁকড়াবন অফিসের আধিকারিক শান্তনু মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, এবছর আনুমানিক ২৫০ থেকে ৩০০ জন কৃষক মাঠের তিল লাগিয়েছেন। সবমিলিয়ে এবছর এই এলাকায় প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে তিলের আবাদ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলের চাষিরা মূলত ফেব্রুয়ারির শেষ ভাগ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহে তিল বীজ বপন করেন। জুনের শেষ ভাগে মাঠ থেকে তিল তোলার কাজ শুরু হয় এবং জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত তিল তোলার কাজ চলে। চাষের খরচ বিঘা প্রতি প্রায় সাড়ে চার হাজার রুপি। প্রতি বিঘাতে ১৫০ থেকে ১৭০ কেজি তিল পাওয়া যায়। পাইকারি দরে বাজারে প্রতি কেজি তিল ন্যূনতম ১২০ রুপি করে বিক্রি হয়। সবমিলিয়ে তিলে বিঘা পিছু ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার রুপি আয় হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে কৃষকের গড়ে লাভ থাকে ১৩ হাজার ৫০০ রুপি থেকে ১৫ হাজার ৫০০ রুপি পর্যন্ত।
কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের তরফে তিল চাষিদেরকে সার বীজসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয় বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
এসসিএন/এএটি