ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিলো ত্রিপুরার উদ্বাস্তু কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিলো ত্রিপুরার উদ্বাস্তু কমিটি

আগরতলা (ত্রিপুরা): তিন দফা দাবিতে শুক্রবার (২৯ জুলাই) পশ্চিম জেলা ও সিপাহিজলা জেলার উদ্বাস্তু উন্নয়ন কমিটির পক্ষে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এদিন কমিটির ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পশ্চিম জেলা শাসকের অফিসে এসে অতিরিক্ত জেলাশাসক রাজীব দত্তের কাছে স্মারকলিপি দেয়।

 

প্রতিনিধি দলে ছিলেন উদ্বাস্তু উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সজল পোদ্দার, চেয়ারম্যান গোপাল নস্কর ও সম্পাদক রাখাল দেবনাথ।

তাদের তিন দফা দাবি হলো- বিভিন্ন সময় উগ্রপন্থী হামলার কারণে যেসব পরিবার নিজ ভিটেমাটিছাড়া তাদের সরকারি ভাবে উদ্বাস্তু হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। সুষ্টুভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং এই পরিবারগুলোকে এককালীন ৫ লাখ রুপি আর্থিক অনুদান দিতে হবে।  

পশ্চিম জেলা ও সিপাহিজলা জেলার উদ্বাস্তু উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সজল পোদ্দার গণমাধ্যমের সামনে বলেন, মিজোরাম থেকে উদ্বাস্তু হয়ে ত্রিপুরায় এসে সব সরকারি সুবিধা; এমনকি সরকারি খরচে স্থায়ী ঘর, জমি, রেশন, নগদ টাকা পাচ্ছে। অথচ নিজ রাজ্য ত্রিপুরায় বিভিন্ন সময় উগ্রপন্থীদের তাড়া খেয়ে উদ্বাস্তু জীবন কাটালেও তাদের জন্য নেই কোনো সহায়তা। এমনকি সরকারি সহায়তা লাভের জন্য আধিকারিক থেকে মন্ত্রীদের কাছে গিয়েও কোনো কাজ হয়নি।

‘এখানেই শেষ নয়, যেসব উগ্রবাদীরা একসময় তাদের বাড়িছাড়া করেছে, মানুষ খুন করেছে, তারাও সরকারি সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু ভুক্তভোগী উদ্বাস্তুদের সঙ্গে কেন এমন হচ্ছে, কেন তারা বছরের পর বছর বঞ্চিত। এই প্রশ্ন করেও কোনো উত্তর পাচ্ছেন না। ’ বলেন তিনি।  

পাশাপাশি তিনি বলেন, পূর্বতন সরকার থেকে শুরু করে বর্তমান সরকার সবাই তাদের বঞ্চিত করেছে। বর্তমান সরকারের প্রতি তাদের বহু আশা ভরসা ছিল। কিন্তু এই সরকার তাদের জন্য কোনো চিন্তা ভাবনা করেনি। যদি আগামী কিছুদিনের মধ্যে তাদের সমস্যার সমাধানে সরকার পদক্ষেপ না নেয় তবে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
এসকেএন/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।