আগরতলা, (ত্রিপুরা): অতিথি পাখির মতো প্রতিবছর শীতকাল এলেই আগরতলায় গরম জামা কাপড় নিয়ে আসেন ভুটিয়া ব্যবসায়ীরা। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর তারা আসেননি।
ঋতুচক্রের নিয়ম মেনে এবছরের মতো শরৎ বিদায় নিয়েছে প্রকৃতি থেকে এবং চলে এসেছে হেমন্ত। এই ঋতু সঙ্গে নিয়ে আসে হিমেল অনুভূতি ও কুয়াশা। শহরবাসীরা হেমন্তকালে হিমেল অনুভূতি ততটা আঁচ না পারলেও শহর ছাড়িয়ে গ্রামীণ এলাকায় গেলেই সকাল সন্ধ্যায় প্রকৃতির এই রূপ বদলের ছবি চোখে পড়ে।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা আসতেই হালকা কুয়াশার চাদর নেমে আসে প্রকৃতিতে। পরিবেশের এই রূপ জানান দেয় সামনেই আসছে হাড় কাঁপানো শীতের মৌসুম।
শহরে শীতের পরশ না পাওয়া গেলেও ক্যালেন্ডার মেনে হেমন্তের শুরুতেই প্রতি সূদুর ভুটান থেকে আগরতলা শহরে চলে আসেন গরম জামা কাপড় বিক্রেতা ভুটিয়ারা।
এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর তারা আগরতলায় আসেননি। এবছর করোনার প্রকোপ নেই তাই ইতোমধ্যে তারা আগরতলায় চলে এসেছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তারা এখন তৈরি করে নিচ্ছেন অস্থায়ী স্টল।
গত ১০ বছর তারা রাজধানী আগরতলার শকুন্তলা রোডে গরম জামা কাপড়ের মৌসুমী বাজার বসতেন, কিন্তু তাদের এই চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় এবছর রাজধানীর বটতলা এলাকার টিআরটিসির পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে তাদের বাজার নিয়ে বসেছেন। নতুন জায়গাতে তারা খুশি, আশা করছেন এই জায়গাতেও ক্রেতাদের উপস্থিতিতে আগের মতো জমজমা হয়ে উঠবে এবং ব্যবসাপাতিও ভালো চলবে বলে আশা করেন।
২০ অক্টোবর থেকে তাদের এবছরের বাজার চালু করা হবে বলে বাংলানিউজকে বলেন এক ভুটিয়া ব্যবসায়ী এম বাহাদুর।
এক নারী ব্যবসায়ী মনিও জানান, তিনি বংশপরম্পরায়ে এখানে ব্যবসা করছেন। তার ঠাকুর দাদা প্রথম আগরতলায় শীতের জামা কাপড় নিয়ে আসতেন, তারপর তার বাবা আসছেন এখন তিনি আসছেন। এখানে ব্যবসা করে তারা খুশি বলেও জানান।
গোটা জানুয়ারি মাস পর্যন্ত তাদের ব্যবসা চলে এখানে। দোকানগুলো চালু করে দেওয়ার পর তারা অধীর আগ্রহ চেয়ে থাকেন কখন রাজ্যে শীত পড়বে। কারণ শীত বাড়লেই তাদের স্টলগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ে, সেই সঙ্গে বাড়ে বিক্রিও।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
এসসিএন/এএটি