আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়ার বিতর্কিত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের এক প্রতিনিধি দল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) তারা এলাকাটি পরিদর্শনে যান। এ সময় সহকারী হাই কমিশনারের সঙ্গে ছিলেন প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক চৌধুরী, প্রথম সচিব আল আমীন, ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অন্তর্গত আগরতলার আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের ম্যানেজার দেবাশীষ নন্দী ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র কর্মকর্তারা।
এদিন প্রথমে তারা দক্ষিণ জেলার সাব্রুম ও রামগরড়র এলাকাকে সংযোগকারী ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করেন। নদী সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় অংশে নির্মিয়মান চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন। সেতুর অপর প্রান্তে বাংলাদেশের দিকে কোথায় ইমাইগ্রেশন সেন্টার হবে সে স্থানও ঘুরে দেখেন তারা।
তারপর বিলোনিয়াতে যান কর্মকর্তারা। এ জায়গাটিতে মুহুরী নদীর চরের কিছু এলাকা নিয়ে বহু বছর ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। বিলোনিয়ার মুহুরীপুর এলাকায় ভারত ও বাংলাদেশের দিকে স্থলবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের দিকে স্থলবন্দরটি আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে নির্মাণ করা হলেও ভারতীয় অংশের স্থলবন্দর নির্মাণ নিয়ে বিজিবি’র আপত্তি রয়েছে।
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে যেকোনো দেশ স্থলবন্দরের কোনো ধরনের নির্মাণ কাজ করবে সীমান্তের শূন্যস্থান থেকে ১৫০ মিটার পরে। কিন্তু ভারতীয় অংশে এ নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে আপত্তি জানিয়েছে বিজিবি।
কর্মকর্তারা এ স্থল বন্দর এলাকা ও মুহুরী চর ঘুরে দেখেন। এ সফর সম্পর্কে সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, উপদেশের মধ্যে মৈত্রী সম্পর্ক রয়েছে। তারপরও কিছু কিছু বিষয় নিয়ে বিভিন্ন স্তরে আপত্তি তোলা হয়। এই আপত্তির জায়গাগুলো বাস্তবে কী অবস্থায় রয়েছে এবং কীভাবে আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান বের করে আনা যায় সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। উভয় দেশ সমস্যার সমাধান বের করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মুহুরি চরের ব্যাপারে তিনি বলেন, কে জিতল আর কে হারলো এটা বড় বিষয় নয়। নিজেদের মধ্যে যে ছোট ছোট মতানৈক্য রয়েছে দীর্ঘ বছর ধরে তার সমাধান বের করে সকলে একসঙ্গে চলাই হচ্ছে বড় বিষয়। মুহুরী চরের বিতর্ক সমাধানের জন্য ২০১৪ সালে ভারত ও বাংলাদেশের একটি যৌথ টিম জরিপ করে কিছু অস্থায়ী পিলার বসিয়েছিল। নদীর পানির স্রোতের অস্থায়ী পিলার গুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আবার যাতে দ্রুত আগের নির্ধারিত জায়গা গুলো চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করা যায় তার জন্য চেষ্টা চালানো হবে। এই বিষয়গুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য ঢাকাকে অবগত করা হবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ও তৎপরতা দেখিয়ে এগিয়ে আসবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২২
এসসিএন/এমজে