আগরতলা (ত্রিপুরা): বিহারী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের অন্যতম একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছট পূজা। অন্যান্য জায়গার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রোববার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে ত্রিপুরা রাজ্যজুড়ে অনুষ্ঠিত হয় এই পূজা।
রাজ্যের সবচেয়ে বড় ছট পূজার আয়োজন করা হয় রাজধানী আগরতলার খেজুর বাগান এলাকার রানী পুকুরে। এখানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ নারী পুরুষ ছট পূজার জন্য আসেন। পুকুরের পানিতে দাঁড়িয়ে বেলা শেষের পড়ন্ত সূর্যকে সাক্ষী রেখে তারা শ্রদ্ধা ভরে পূজা করে থাকেন।
পূজা দিতে আসা ধর্মপ্রাণ বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষ জানান, এই পূজা অত্যন্ত পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ। ভক্তিপূর্ণ ভাবে এই পূজা আয়োজন করে যা প্রার্থনা করা হয় তা পাওয়া যায়। এই পূজাতে কলার কাদি, নারকেলসহ অন্যান্য ফলমূল প্রয়োজন হয় বলে জানান পূজা দিতে আসা লোকজন।
রানী পুকুর পাড়ে গঙ্গা দেবীর মূর্তি তৈরি করা পূজার আয়োজন করা হয়। বাদ্যযন্ত্র নিয়ে উপস্থিত লোকজন আনন্দে মেতে ওঠেন। প্রচুর সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হয়ে ছিলেন এই পূজা প্রাঙ্গণে। এছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য জায়গার পুকুর এবং নদীতে স্থানীয়ভাবে পূজার আয়োজন করেন বিহারী অংশের মানুষ।
রানী পুকুরের এই পূজা প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ডা. দিলীপ কুমার দাস, আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, আগরতলা পৌর নিগমের নর্থ জোনের চেয়ারম্যান গৌতম চন্দসহ অন্যান্যরা।
এদিনের ছট পূজা প্রসঙ্গে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বিধায়ক ডা. দিলীপ কুমার দাস বলেন, ছট পূজা হচ্ছে প্রকৃতির পূজা, পৃথিবীকে উর্বর করে তোলার জন্য প্রার্থনা করা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ভোকাল ফর লোকালের যে ডাক দিয়েছেন তার সঙ্গে ছট পূজার সামঞ্জস্য রয়েছে। এই পূজাতে যে সব সামগ্রী ব্যবহার করা হয় তা স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত।
অপরদিকে আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার ছট পূজা উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। সবার জন্য সুন্দর ভাবে আনন্দের সঙ্গে এই পূজা করে এই আহ্বান রাখেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
এসসিএন/এসএ