ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

উন্নত হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
উন্নত হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের জন্য আবাসন সুবিধা ৮ শতাংশ হতে ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য অর্জনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাদের জন্য আরও ৮ হাজার ৮৩৫টি ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পেশ করার সময় এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন চলছে। এতে উপস্থিত আছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপনে মন্ত্রী সরকারি আবাসনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬ হাজার ৫০৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ৫ হাজার ২১১টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলমান। আরও ৮ হাজার ৮৩৫টি ফ্ল্যাট নির্মাণ ও ৬৪ জেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ডরমিটরি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হলে সরকারি কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ১৫ শতাংশে উন্নীত হবে। সিরাজগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে ছিন্নমূল জনগণের জন্য অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। যার মাধ্যমে প্রায় ৩৬ হাজার ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ উপকৃত হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় চারটি স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে পদ্মা বহুমুখী সেতুর উভয় প্রান্তে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণসহ ঢাকার পূর্বাচলে আধুনিক ও নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী সম্পন্ন ১৪২তলা আইকনিক টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী যে বাজেট বক্তব্য দিচ্ছেন তার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে। ’ আগামী এক বছর দেশ পরিচালনার সার্বিক আয়-ব্যয়ের হিসাব রয়েছে এ বাজেটে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে। আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
এইচএমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।