ঢাকা: জাতীয় সংসদে পেশ হয়েছে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট। প্রায় তিন লাখ কোটির টাকা ব্যয়ের এ বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানতে কথা হলো বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে।
এদের অধিকাংশই বোঝেন না বাজেট কী জিনিস? আর যারা বোঝেন বাজেট নিয়ে তাদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বৃহম্পতিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে বাজেট পেশের পর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় কথা হলো ওমর আলী নামে এক রিকশাচালকের সঙ্গে।
তিনি জানান, ‘আমরা রিকশা চালাই। বাজেট-ফাজেটের কী বুঝমু আমরা?। দ্রব্যমূল্যের দাম যদি কম থাকে তাইলেই আমরা খুশি। খাইয়া পইরা ভালো মতো চলতে পারলেই হইলো। ’
কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে এবারের বাজেট প্রসঙ্গে দারুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি গত ২০১৩ সালে মিরপুর বাংলা কলেজ থেকে মার্স্টাস পাশ করে চাকুরি খুঁজছেন। তিনি বাংলানিউজকে জানান, দিন দিন বাজেটের আকার বাড়ছে । কিন্তু দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। তাই এবাররে বাজেটে আমাদের মতো হাজারো বেকারদের জন্য কোনো সুখবর নেই।
বেসরকারি ব্যাংকের একজন ম্যানেজার মোবারক হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সার্বিক অর্থনীতি বিবেচনায় এ ধরনের বড় বাজেট প্রয়োজন। তবে সবসময় যে প্রশ্নটি থেকে যায়, সেটা হলো ঘোষিত বাজেটের বাস্তবায়ন। বর্তমানে আমাদের দেশের সম্পূর্ণ অর্থনীতিতে ভিত্তির ওপর দাঁড়িযেছে তাতে এ বাজেট বাস্তবায়ন অসম্ভব নয়।
আরামবাগের মুদি দোকানদার আতাউর রহমান জানান, আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাজেট নিয়ে কোনো মাতামাতি নেই। বাজেট নিয়ে মাতামাতি করবে বড় ব্যবসায়ীরা। বড় ব্যবসায়ীরা আগে থেকে মাল (পণ্য) মজুদ করে রাখে, আর বাজেটের পর সেগুলোর বেশি দামে বিক্রি করে মুনাফা করেন। তাই বাজেট নিয়ে তাদেরই ভাবনা বেশি।
পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডের ইলেকট্রনিকস পণ্যের দোকানদার আনোয়ার পারভেজ জানান, বাজেটের পর বেশকিছু ইলেকট্রনিকস পণ্যের দাম বেড়ে যায়। তবে মানুষের আয় যদি না বাড়ে এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
এনএ/টিআই