ঢাকা: বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মালয়েশিয়া, চীন, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক ও মেসিডোনিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য অথবা প্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সম্পূরক ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এপিটিএ)- এর আওতায় চতুর্থ রাউন্ড ট্যারিফ নেগোসিয়েশন চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে সদস্য দেশগুলোতে রফতানি বাড়বে। অন্যদিকে, ডি-৮ বাণিজ্য জোটে বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী সীমান্ত হাট ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের নানা বিষয় তুলে ধরেন।
সীমান্ত হাট: ইতোমধ্যে বাংলাদেশ-মেঘালয় সীমান্তে তিনটি হাট চালু হয়েছে এবং বাংলাদেশ-ত্রিপুরা সীমান্তে আরো তিনটি হাট স্থাপনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া, সম্প্রতি আরো চারটি সীমান্ত হাট স্থাপনের সম্মতি নেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য সম্প্রসারণ: বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রফতানি বহুমুখীকরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সার্ক এগ্রিমেন্ট ফর ট্রেড ইন সার্ভিসেস (এসএটিআইএস)-এর আওতায় সেবাখাত উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে সদস্য দেশগুলোর সিডিউল অব কমিটমেন্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে।
চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে সেবাখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং এখাতে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়বে।
অন্যদিকে, ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত টিপিএস-ওআইসি-এর আওতায় বাংলাদেশ সম্প্রতি ৪৭৬টি পণ্যের অফার লিস্ট পাঠানো হয়েছে। চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে শিথিল রুলস অব ওরিজিনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে অন্যান্য সদস্য দেশে রফতানি বাড়াতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৫
এমআইএস/এবি