ঢাকা: ৫ হাজার ৭২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার (১০ মে) নগরীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিক সম্মেলনে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, এসব প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে ২ হাজার ৭৬৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা সরকার দেবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৯ কোটি ৯৯ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য পাওয়া যাবে ২ হাজার ৯৪৮ কোটি ৬ লাখ টাকা।
সিলেট বিভাগের পল্লী এলাকায় নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে ১ হাহার ৪১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
‘সিলেট বিভাগের পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও আরইবি’র সদর দফতরে ভৌত সুবিধা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সভায় ৩০২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘প্রো-পুওর স্লাম ইন্টিগ্রেশন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় পৌরসভা ও মহানগর এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনমান ও অনানুষ্ঠানিক সেটেলমেন্টের মান উন্নয়ন করা হবে।
একই সঙ্গে ‘মংলা বন্দর থেকে রামপাল পর্যন্ত পশুর চ্যানেল ক্যাপিটাল ড্রেজিং’ প্রকল্পেরও অনুমোদন দিয়েছে একনেক কমিটি। ১৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নৌ-পথে কয়লা পরিবহনের সুবিধার জন্য প্রকল্পটি বিশেষ অবদান রাখবে। তাই মংলা বন্দরের ৯ নম্বর জেটি থেকে উজানে ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত পশুর নদীর পর্যাপ্ত নাব্যতা সৃষ্টি করা হবে।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণের জন্যে ১০৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ১২২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্কাউটিং সম্প্রসারণ ও স্কাউট শতাব্দি ভবন নির্মাণ প্রকল্প’, ‘নদীর ভাঙ্গন থেকে ভোলা জেলার চরফ্যাশন পৌর শহর সংরক্ষণ প্রকল্প (ব্যয় ২০৯ কোটি ৪ লাখ টাকা) এবং ৩ হাজার ৪০০ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৬
এমআইএস/এমএ