ঢাকা: এবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষকদের নগদ সহায়তাসহ অন্যান্য প্রণোদনা সরাসরি পৌঁছে দেয়া হবে। এছাড়া উন্নত বীজ সরবরাহ, সার সহজলভ্যকরণ, কৃষি বিপণন ও প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন, শস্য বহুমুখীকরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমও জোরদার করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে নতুন অর্থ বছরের বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি খাতে ভর্তুকি, স্বল্প সুদে ঋণ, উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ, সার সহজলভ্যকরণ, কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ, কৃষি বিপণন ও প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন, শস্য বহুমুখীকরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
পাশপাশি ব্যবস্থাপনাগত উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। এতে বিগত অর্থবছরের তুলনায় কৃষিতে প্রকৃত উৎপাদন বেড়েছে দুই দশমিক ছয় শতাংশ।
তিনি বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ সহায়তা ও অন্যান্য প্রণোদনা সরাসরি কৃষকের নিকট পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছি। উপজেলা পর্যায়ে ৪৯৯টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ৭২৭টি কৃষক তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকরা বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের সেবা পাচ্ছেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত খুশির খবর উল্লেখ করে বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাংলাদেশের ভাসমান সবজি চাষ পদ্ধতিকে গ্লোবাল ইমপরট্যান্ট এগ্রিকালচারাল হেরিটেজ সিসটেম হিসেবে ঘোষণা করেছে।
খাতভিত্তিক কর্মপরিকল্পনায় কৃষি বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষির ক্রমবর্ধমান উৎপাদনের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আমরা উন্নত বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ, কৃষি উপকরণ প্রণোদনা প্রদান, সুষম সারের ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রবর্তন ও কৃষকের ব্যাংক একাউন্ট খোলা, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান, কৃষি গবেষণা, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর উপযুক্ত কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন, কৃষি গবেষণার জন্য এনডাউমেন্ট ফান্ড মঞ্জুর এবং উৎপাদন বৃদ্ধি ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার্থে জৈব সারের ব্যবহার উৎসাহিতকরণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। যা আগামীতেও অব্যাহত রাখবো।
এদিকে গত তিন বছরের ব্যবধানে কৃষিতে জাতীয় বাজেটে তিন হাজার ৯১ কোটি টাকা কমেছে। নতুন অর্থ বছর ২০১৬-১৭’তে সংশোধিত বাজেটে কৃষির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৬
একে/জেডএম