ঢাকা: তামাকজাত পণ্যের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি উপেক্ষা করে এবারের বাজেটে দামি সিগারেটে কর হার প্রায় অপরিবর্তিত রাখার মাধ্যমে আবারও রেহাই দেওয়া হয়েছে বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলোকে।
শনিবার (১১ জুন) তামাক বিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞার পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত এক বছরে জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে প্রস্তাবিত বাজেটে করের হার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব চরম জনস্বাস্থ্যবিরোধী। একই সঙ্গে এই স্তরের সিগারেট থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে না।
২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ তামাকমুক্ত করার কৌশল হিসেবে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সহজ তামাক কর কাঠামো প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তামাকজাত পণ্যের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস ও তামাক রাজস্ব বৃদ্ধির কথাও বলেছেন তিনি।
অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে তামাক কর কাঠামো সহজীকরণের বিন্দুমাত্র প্রচেষ্টা চোখে পড়েনি। কমদামি সিগারেটে করহার সামান্য বাড়ানো হয়েছে। তবে বিড়ি ও ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের মূল্য বাড়ানোর কার্যকর উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কার্যকরভাবে হ্রাস করতে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটে গৃহীত পদক্ষেপ বিশ্লেষণ ও করণীয় সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা।
তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগে রোববার (১২ জুন) দুপুর ১২ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন হবে।
এতে মূল বক্তব্য উত্থাপন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক।
অনুষ্ঠানে ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, দ্য ইউনিয়ন এবং ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসসহ অন্যান্য তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৬
এমএ/