ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

দাম বাড়বে না যেসব পণ্য-সেবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৭
দাম বাড়বে না যেসব পণ্য-সেবার

ঢাকা: নতুন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর দেড়টার পর থেকে জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করছেন তিনি।

বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ বাস্তবায়ন হবে। তবে এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছে আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত প্রায় হাজারের অধিক পণ্য ও সেবাকে।

সেজন্য এসব পণ্য ও সেবায় নতুন আইন প্রভাব ফেলবে না অর্থাৎ এসব পণ্য ও সেবার দাম বাড়বে না।

অর্থমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী— নতুন আইনে ভ্যাট বা মূসক অব্যাহতিপ্রাপ্ত মৌলিক খাদ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, ডিম, ফল, তরল দুধ, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচ, মাংস, মুড়ি, চিঁড়া, আলুসহ সব ধরনের সবজি।  

তবে প্যাকেটজাত ও আড়াই কেজির বেশি হলে তরল দুধ, পেঁয়াজ, রসুন, গম, আটাসহ কিছু ভোগ্যপণ্যে ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। রুটি ও বিস্কুটসহ সব ধরনের ফাস্টফুড ও বেকারি পণ্যে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে। আবার ভ্যাট দিতে হবে আদা, জিরা, লবঙ্গ, ধনিয়া, দারচিনি, এলাচসহ অন্যান্য মসলার আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে।

কলা, খেজুর, ডুমুর, আনারস, পেয়ারা, আম, গাব, লেবুজাতীয় ফল, আঙ্গুর, তরমুজ, আপেল, নাশপাতিসহ যেকোনো ফল, গোলমরিচ, ভ্যানিলা, দারুচিনি, লবঙ্গ, জায়ফল, জৈত্রী, এলাচ, মৌরী, ফেনেল, ধনিয়া, জিরা, আদা, জাফনার, হলুদ, তেজপাতা, কারি, মসলা, গম, মেসলিন; রাই, বার্লি, জই, ভুট্টা, ধান, সব প্রকার চাল, মুড়ি, সোরঘাম শস্য, বাজরা, ক্যানারাই বীজও ভ্যাট অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্যের তালিকায় রয়েছে।

মন্ত্রী জানান, নতুন আইনে সব অস্থায়ী হোটেল ও রেস্তোরাঁয়ও খাদ্যদ্রব্য সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যেসব হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়া করে তাদেরও ভ্যাট দিতে হবে না। ফলে এসব হোটেলে খেলে খরচ বাড়বে না। ভ্যাট না থাকায় খরচ বাড়বে না দেশের মধ্যে (সরবরাহ) অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যানবাহনের মাধ্যমে পরিবহন সেবা, ভাড়াকৃত পরিবহন ছাড়া ট্যাক্সি, বাস, মিনিবাস, লঞ্চ, স্টিমার, ফেরির মাধ্যমে পরিবহন সেবারও। এয়ারলাইন্স (চার্টার্ড বিমান ও হেলিকপ্টার ভাড়া প্রদানকারী সংস্থা ব্যতীত) ও খাদ্যশস্য পরিবহন সেবাদাতাদেরও বাড়বে না খরচ।

কৃষি পণ্যের মধ্যে বীজ, সকল প্রকার সেচ সেবা, বীজ সংরক্ষণ সেবা, মৎস্য, জলজপ্রাণী ও জলজ সম্পদ আহরণ ও সংরক্ষণ সংক্রান্ত সেবা, সকল প্রকার সার, কীটনাশক, যন্ত্রপাতি ইত্যাদিতেও ভ্যাট থাকছে না। ডেইরি, ফাউন্ড্রি, পাটশিল্পেরকাজে ব্যবহৃত সকল যন্ত্রপাতিতেও ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। খালি জমি বিক্রয়, হাইটেক পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানে পণ্য উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাট থাকছে না। সরকারের ফাস্ট ট্রেক তালিকাভুক্ত সকল প্রকল্পে সরবরাহ, নির্মাণ, ইন্টারনেট ইত্যাদি সেবাকেও ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, দেশে উৎপাদিত এলপিজি সিলিন্ডার, ফ্রিজ, টিভি, এসি ও মোটরসাইকেলে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত যে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া আছে, তা বলবৎ থাকবে। ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে দেশীয় সফটওয়্যার উৎপাদন ও সরবরাহে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ১,২০১৭
এসজে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।