ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৬ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৮
সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ সংসদে বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত/ছবি: পিআইডি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ অর্থবছরে ২৫ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহের প্রায় ৭ হাজার ৮৬৯ কোটি বরাদ্দ বিবেচনায় নিলে বাজেটের আকার দাঁড়াবে প্রায় ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০  কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে আসবে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ১১ দশমিক ৭ শতাংশ।


 
এনবিআর’র বাইরে অন্যান্য খাত থেকে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা (জিডিপি’র দশমিক ৪ শতাংশ) এছাড়া কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আদায় হবে ৩৩ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা (জিডিপি’র ১ দশমিক ৩ শতাংশ)।
 
প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয়ের খাতগুলো উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বাজেটে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজের শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী কাজগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে সামাজিক অবকাঠামো, ভৌত অবকাঠামো ও সাধারণ সেবা খাত। সামাজিক অবকাঠামো খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যার মধ্যে মানবসম্পদ খাতে (শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাত) বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
 
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত টানা ১০ বাজেট পেশ রেকর্ড গড়েছেন। এবার ১২তম বাজেট পেশ করার মধ্য দিয়ে বিএনপি’র প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের সমান বাজেট দেওয়ার গৌরব অর্জন করলেন তিনি। মুহিত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলের অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বাজেট পেশ করেন ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরে। ধারণা করা হচ্ছে এবারই তার শেষ বাজেট।
 
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, মধ্যমেয়াদী নীতি-কৌশল। এক্ষেত্রে বাজেট প্রণয়নের মূল্য লক্ষ্য হলো দারিদ্র্য বিমোচন ও অসমতা হ্রাস এবং জনগণের জীবনমানে মৌলিক ও গুণগত পরিবর্তন আনা।
 
বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি কখনো বসে কখনো দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করেন। মাঝে ৩০ মিনিটের বিরতি দিয়ে ১১০ পৃষ্ঠার বক্তৃতার চুম্বক অংশ পাঠ করেন তিনি। এসময় তার বক্তৃতার অংশ প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী হিসেবে তার ডাকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলাম একটি সুখী-সমৃদ্ধ শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্ন নিয়ে। বিগত দশ বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার সুবাদে সে স্বপ্নের বাস্তব রূপায়নের প্রয়াস নিয়েছি।
 
তিনি বলেন, সমৃদ্ধ আগামীর পথে বাংলাদেশের অভিযাত্রার রূপকল্প-২০৪১ প্রণয়নে আমি বয়সের কারণেই হয়ত তেমন ভূমিকা রাখতে পারবো না; তবে, কাজ যে শুরু হয়েছে তাতে আমি খুবই তৃপ্ত ও নিশ্চিত।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এসএম/এসকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।