ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

ব্যাংকিং খাতে লুটপাটকারীদের শাস্তি দাবি এফবিসিসিআই’র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৮
ব্যাংকিং খাতে লুটপাটকারীদের শাস্তি দাবি এফবিসিসিআই’র এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন)। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ব্যাংকিং খাতে লুটপাটকারীদের বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিআই)।

শনিবার (০৯ জুন) দুপুরে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর মতামতের জন্য এফবিসিসিআই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এ বাজেট বাস্তবায়নে বছরের শুরু থেকেই সুষ্ঠু মনিটরিং জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়। আর এটা করা না হলে বাজেট বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
 
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যাংকিং খাত নিয়ে সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। মুষ্টিমেয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে ব্যাংকিং খাতে এখনও বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। যা আমাদের পলিসির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিষয়টি অপরাধ হিসেবে ধরে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার প্রস্তাব করছি। যাতে করে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন বজায় থাকে।

তা না হলে সামগ্রীক ব্যাংকিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আরও হবে। যারা ব্যাংকের টাকা তসরুপ করছে, টাকা চুরি করছে, তাদের শাস্তি চাই আমরা।

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জনগণের আমানতের পয়সা যাতে তসরুপ না হয়, সে জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এটা আমাদের প্রত্যাশা।

অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তাদের রক্ষার জন্য এফবিসিসিআই কোনো সুপারিশ করবে না। যারা খারাপ ব্যবসায়ী বা কেউ কেউ পলিসি মেনিপুলেশন করে ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে তাদের জন্য এফবিসিসিআই অ্যাডভোকেসি করে না। আমরা চাই তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হোক। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বাজেট বাস্তবায়নে অর্থায়ন ও অর্থব্যয় সঠিকভাবে করতে না পারায় প্রতি বছরই বাজেট সংশোধন করতে হয়। বাজেট বাস্তবায়নে বছরের শুরু থেকেই সুষ্ঠু মনিটরিং জোরদার করা জরুরি। বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং তদারকির মান নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় এই বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৮
এসকে/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।