ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘শান্ত’, ‘শান্ত’ স্লোগানের ম্যাচে জয়ে ফিরলো সিলেট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
‘শান্ত’, ‘শান্ত’ স্লোগানের ম্যাচে জয়ে ফিরলো সিলেট ছবি : শোয়েব মিথুন

সিলেট থেকে : গ্যালারিভর্তি মানুষে গোলাপির ছোঁয়া। সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য স্লোগান ভেসে এলো, সমর্থনের জোয়ারে তারা থাকলো উদ্বুদ্ধ।

আলোচনা-সমালোচনার ভেতর থাকা নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ‘শান্ত’, ‘শান্ত’ চিৎকারও শোনা গেল সিলেটে। ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার ক্ষতে প্রলেপ দিলো সিলেট।  

শুরুতে শুভাগত হোম ও মেহেদী মারুফের কল্যাণে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স পেলো ভালো সংগ্রহ। এরপর ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত আরও একবার ঢাল হলেন সিলেটের জন্য। এই ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর উঠলেন বিপিএলের রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে। বাকি কাজটুকু করলেন মুশফিকুর রহিম ও রায়ান বার্ল।

শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে ১২ বল আগেই জয় পায় সিলেট। ঘরের মাঠে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হেরেছিল সিলেট। এই জয়ে ফরচুন বরিশালকে টপকে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে সিলেট।  

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। ইনিংসের একদম প্রথম বলে উসমান খানের দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন জাকির হাসান, উইকেট পান মাশরাফি বিন মুর্তজা। ওই ওভারে তিনি দেন কেবল ১ রান। এরপর মেহেদী মারুফের সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেন আফিফ হোসেন।  

এই ব্যাটার ৫ চারে ২৭ বলে ৩৪ রান করে মোহাম্মদ আমিরের বলে এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে জুটি। তার বিদায়ের পর আউট হয়ে যান মেহেদী মারুফও। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ বলে ৫২ রান করেন মারুফ। এরপর ম্যাক্স ও ডাউড ও কার্টিস ক্যাম্পারও ফেরেন দ্রুতই।  

৩ বলে ১ রান করে ইমাদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হন ম্যাক্স, ৪ বলে ৪ রান করে শুভাগতের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ক্যাম্পার হন রান আউট। তাদের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন শুভাগত হোম। চট্টগ্রাম অধিনায়ক ৩ চার ও সমান ছক্কায় ২৯ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে থাকেন অপরাজিত। সিলেটের পক্ষে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম।  

জবাব দিতে নেমে স্বাগতিকদের ভালো শুরু এনে দেন তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুজন। ২ চারে ১৮ বলে ১৫ রান করে হৃদয় ফিরলে এই জুটি ভেঙে যায়। শান্ত অবশ্য পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। তৃতীয় ওভারে মেহেদী হাসান রানাকে টানা তিন বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।  

এর মধ্যে একটি শট ছিল দুর্দান্ত প্লেসমেন্টে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে মারা। ওই বাউন্ডারির পর গ্যালারি থেকে ‘শান্ত’, ‘শান্ত’ চিৎকার শোনা যায়। গত কয়েকদিন ধরে শান্তর নিয়ে অতিরিক্ত সমালোচনা নিয়ে বেশ কথা হচ্ছিল। তিনি নিজেও জানিয়েছিলেন পরিবারের কষ্ট পাওয়ার কথা। আজ সিলেটের গ্যালারি থেকে অভিবাদনই ভেসে এলো তার জন্য।

৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ বলে ৬০ রান করেন এই ব্যাটার। নিহাদুজ্জামানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার সময় নিজের প্রতি ক্ষোভে হেলমেট ছুড়ে মারতে দেখা যায় শান্তকে।  

সিলেটের জন্য বাকি পথটুকু সহজ করে দেন মুশফিকুর রহিম ও রায়ান বার্ল। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১৬ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন বার্ল। তবে শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ বলে ৪১ রান করেন মুশফিক।  

বাংলাদেশ সময় : ২২২৩ ঘণ্টা, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩
এমএইচবি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।