ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

সাকিবের সঙ্গে ভাগ্য ফিরল মোহামেডানের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
সাকিবের সঙ্গে ভাগ্য ফিরল মোহামেডানের

শুরুতে ইমরুল কায়েস হাঁকালেন হাফ সেঞ্চুরি, শেষে ঝড় তুললেন জর্জ লিনটট। ব্যাট হাতে সাকিব আল হাসানের ব্যর্থতার দিনও বড় সংগ্রহ পেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

এরপর জ্যাক লিনটট ও আবু জায়েদ রাহীর বোলিংয়ে ভর করে তারা পেল জয়ও। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে সাকিবের খেলা প্রথম ম্যাচে জয়ের দেখা পেল মোহামেডান।

শনিবার সাভারের বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ২২ রানে হারিয়েছে সাকিব-ইমরুলরা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৯০ রানের সংগ্রহ পায় মোহামেডান। জবাব দিতে নেমে ২৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায় শেখ জামাল।  

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধীরস্থির শুরু করেছিলেন শেখ জামালের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার সাইফ হাসান ও সৈকত আলী। দলের ৮৩ রানে প্রথম ধাক্কা খায় তারা। ১ চার ও ছক্কায় ৪৫ বলে ২৬ রান করা সৈকতকে ফেরান নাজমুল ইসলাম অপু।  
দলের সঙ্গে সদ্য যোগ দেওয়া ইংলিশ স্পিনার জ্যাক লিনটট শিকার করেন সাইফ হাসান ও তাওহিদ হৃদয়কে। ৪ চার ও সমান ছক্কায় ৬৭ বলে ৫৮ রান করে সাইফ এবং ৫ বলে ২ রান করে আউট হন হৃদয়।

তাদের বিদায়ের পর ছোট্ট একটা চেষ্টা ছিল ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও নুরুল হাসান সোহানের। কিন্তু তাদের ২৫ রানের জুটি ভাঙে সোহান ফিরলে। তাকে সাজঘরে পাঠান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫৪ বলে ৩৬ রান করা ফজলে মাহমুদও হন রান আউট।

এরপর শেখ জামালের হয়ে অনেকটা একাই লড়েন পারভেজ রাসুল। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। কিন্তু শেখ জামালের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না সেটি। মোহামেডানের পক্ষে তিন উইকেট নেন লিনটট ও  আবু হায়দার রনি। ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন সাকিব।  

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয় মোহামেডানের। ৭৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন রনি তালুকদার ও ইমরুল কায়েস। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ বলে ৩২ রান করা রনি আউট হন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে। ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যর্থ হন মোহামেডানের দুই বড় তারকা সাকিব ও মিরাজ। ১৩ বলে ৫ রান করে সাইফ হাসানের বলে পারভেজ রাসুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ। অন্যদিকে ৯ বলে ৫ রান করেই থামেন সাকিব। রাসুলের বলে ক্যাচ দেন হৃদয়ের হাতে।

তাদের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়েন ইমরুল। এই উদ্বোধনী ব্যাটার ফিফটি করে ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ১০ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ১০১ বলে ৮৬ রান করে বোল্ড হতে হয় রাসুলের বলেন।
৫১ বলে ৪৮ রান করে আউট হন রিয়াদও। আবারও ভেঙে পড়ে মোহামেডানের ব্যাটিং। মিডল অর্ডারে খেলতে নেমেও রান পাননি সৌম্য সরকার। ১২ বলে ৮ রান করে আরিফ আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।

মোহামেডানের রান বড় করার কৃতিত্ব পাবেন আরিফুল হক ও লিনটট। ৪ ছক্কায় ৩১ বলে ৩৯ রান করে আরিফুল ও ২ চার এবং লিনটট অপরাজিত থাকেন ২ ছক্কায় ১০ বলে ২৪ রান করে। শেখ জামালের হয়ে দুই উইকেট করে নেন আরিফ আহমেদ ও রাসুল।  

বাংলাদেশ সময় : ১৮০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।