বিশ্বকাপ খেলতে আগামী বুধবার ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। কিন্তু ফ্লাইট ধরার ৪৮ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে ভিসা পেলেন বাবর আজম-শাহিন আফ্রিদিরা।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে ভিসার জন্য আবেদন করলেও টানা চার কর্মদিবসে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে কোনো সবুজ সংকেত পায়নি পাকিস্তান। ভিসা বিলম্বের কারণে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শুধু তা-ই নয়, এমন পরিস্থিতি বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।
অবশেষে কাটলো সেই জটিলতা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনকে পিসিবির মুখপাত্র উমর ফারুক বলেন, 'অবশেষে ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট নেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে আমাদের। এটা হতাশার যে, বড় টুর্নামেন্টের আগে এমন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে পাকিস্তান দলকে। ভারতে যাওয়ার পথে দুবাইতে দলকে একাট্টা করার মূল পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলাম আমরা। আমাদের পরিকল্পনা নতুন করে সাজাতে হয়েছে এবং নতুন করে ফ্লাইট বুক করতে হয়েছে, তবে সেগুলো ভিসা জটিলতার কারণেই করা হয়েছে। '
ভারত বিশ্বকাপ অংশ নেওয়া সফরকারী ৯ দলের মধ্যে শেষ দল হিসেবে ভিসা পেয়েছে পাকিস্তান। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বুধবার সকালে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে তারা। সেখানে ট্রানজিট শেষে সন্ধ্যায় ভারতের হায়দরাবাদে পা রাখার কথা রয়েছে তাদের। শহরটিতে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা।
এর আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় কিছুটা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানায়, এক সপ্তাহ আগে ভিসার জন্য আবেদন করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ৯ দলের মধ্যে কেবল তাদেরই ভিসার জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। যার কারণ হিসেবে দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতাই সামনে উঠে আসছে। ভারত-পাকিস্তানে ভ্রমণযাত্রা দুই দেশের নাগরিকদের জন্যই অত্যন্ত সীমিত। কারণ ভিসাপ্রাপ্তির বিষয়টি খুবই কঠিন ও প্রায়শই ফলহীন এক প্রক্রিয়া।
গত ১০ বছরে নিজেদের মধ্যে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ২০০৮ সালে মুম্বাই অ্যাটাকের পর আর পাকিস্তান সফর করেনি ভারতীয় ক্রিকেট দল। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার জন্যন ২০১৬ সালে ভারতে খেলতে গিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
সম্প্রতি শেষ হওয়া এশিয়া কাপ এককভাবে আয়োজন করার কথা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু ভারতের আপত্তির কারণে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয় হাইব্রিড মডেলে। ১৩ ম্যাচের মধ্যে কেবল ৪ টি গড়ায় পাকিস্তানের মাঠে, বাকি সবগুলো অনুষ্ঠিত হয় শ্রীলঙ্কায়।
ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তান না গেলে, পাকিস্তানও বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না- আসর শুরুর বেশ কয়েকমাস আগে এমনই এক হুঁশিয়ারি ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে তারা।
সবকিছু ঠিক থাকলে হায়দরাবাদে পৌঁছে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ড ও আগামী ৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। ৬ অক্টোব নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে ১৯৯২'র বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
এএইচএস